টুইটার থেকে নেওয়া ছবি।
প্রথমে কয়েকটা কথাবার্তা, সেখান থেকে বাদানুবাদ, শেষে মার। চুম্বকে এটাই এক প্রৌঢ়র সঙ্গে পুলিশ কর্মীদের মুখোমুখি হওয়ার ঘটনা। মাত্র মিনিট দেড়েকের সেই ভিডিয়োই এখন ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায় জুড়ে। আর হবে নাই বা কেন এর সঙ্গে যে আবার রাজনৈতিক রং দেখতে পাচ্ছেন নেটাগরিকরা।
কয়েক জন পুলিশ কর্মী আটকান এক প্রৌঢ়কে। কিছু কথাবার্তার পরই তাঁকে মারতে মারতে টেনে হিঁচড়ে গাড়িতে তুলছেন পুলিশ কর্মীরা। কেরলের গ্রামের এক রাস্তায় এমনই দৃশ্য ধরা পড়ল ক্যামেরায়। পরে সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করা হয়। জোথিস নায়ার নামের এক ব্যক্তির টুইটার হ্যান্ডলে ভিডিয়োটি পোস্ট হয়েছে ৭ অক্টোবর। সেখানে দেখা যাচ্ছে, গ্রামের ভিতরের একটি রাস্তা। সেখানে দাঁড়িয়ে একটি পুলিশ গাড়ি। আর তার কাছেই দাঁড় করানো রয়েছে একটি বাইক। গাড়ির কাছে একাধিক পুলিশ কর্মী এক গেরুয়া লুঙ্গি ও ধুসর শার্ট পরা ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলছেন।
দু’ পক্ষের মধ্যে কিছুক্ষণ কথাবার্তা চলার পরই তা বাদানুবাদে পৌঁছে যায়। সম্ভবত সেখানে হেলমেট বা বাইকের কাগজপত্র সংক্রান্ত চেকিং চলছিল। ওই প্রৌঢ়র মাথায় হেলমেট ছিল না বলেই সম্ভবত তাঁকে ধরেন পুলিশ কর্মীরা। শেষে বাদানুবাদ এমন জায়গায় পৌঁছে যায়, যে ওই প্রৌঢ়কে কলার ধরে টেনে হিঁচড়ে মারতে মারতে গাড়িতে তোলা হয়। এমনকি প্রৌঢ়া বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে, তাঁকে রীতিমতো চ্যাংদোলা করে জিপে তোলা হচ্ছে। রাস্তার পাশের কোনও বাড়ি থেকে সম্ভববত ভিডিয়োটি রেকর্ড করা হয়।
আরও পড়ুন: ৩ মাসে ৩৫০ অনলাইন কোর্স করে বিশ্ব রেকর্ড ভারতীয় ছাত্রীর
আরও পড়ুন: চাকরি নেই রোহিতের, বউয়ের বিরিয়ানি তো আছে, তাতেই বাজিমাত
পোস্টে এটি কোথাকার ঘটনা তা উল্লেখ করা হয়নি। তবে দাবি করা হয়েছে, যেহেতু ওই প্রৌঢ়ার লুঙ্গির রং গেরুয়া তাই তাঁকে এক প্রকার টার্গেট করেন পুলিশ কর্মীরা। এমনকি সেখানে উপস্থিত এক পুলিশ কর্মী সাব ইন্সপেক্টর শাজেম বলে দাবি করা হয়েছে পোস্টে।