টুইটার থেকে নেওয়া ছবি।
কুশল শিকারি হতে গেলে আত্মগোপন করার গুণ থাকাটা মনে হয় সব থেকে বেশি জরুরি। সে হিসেবে চিতাবাঘ কুশল চতুষ্পদ শিকারিদের তালিকায় মধ্যে বেশ উপরের দিকেই থাকবে। সম্প্রতি এমন একটি ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে, যা দেখে আপনার এ বিষয়ে কোনও সন্দেহই থাকবে না। এটি একটি চিতাবাঘের হরিণ শিকারের ভিডিয়ো।
ভিডিয়োটি নিজের টুইটার হ্যান্ডলে পোস্ট করেছেন, ইন্ডিয়ান ফরেস্ট সার্ভিসের কর্মী সুশান্ত নন্দা। সেখানে দেখা যাচ্ছে, একটি বালিয়াড়ি বা কাঁচা রাস্তার মতো জায়গা, তার পাশে বড় বড় ঘাসে ভরা জমি। সেই ঘাসের বন থেকে একে একে হরিণ লাফাতে লাফাতে বেরিয়ে আসছে। এই দৃশ্যের মধ্যে কোনও ভয় বা অস্বাভিকতার বিষয়ই চোখে পড়ে না। তবে ভাল করে লক্ষ করলে দেখা যাবে, হরিণগুলির যাওয়ার পথ থেকে কয়েক ফুট দূরে একটি বালিয়াড়িতে ধূসর পাথরের মতো কিছু পড়ে রয়েছে। কোনও নড়াচড়া লক্ষ করা যাচ্ছে না তার মধ্যে।
ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, হরিণগুলির যাত্রাপথের একটু দূরে পড়ে থাকা সেই ‘পাথরটি’ হঠাৎই নড়েচড়ে ওঠে। তার পরই উঠে দৌড়তে শুরু করে। সেটি একটি চিতাবাঘ। ক্ষিপ্র গতিতে সে দৌড়ে আসে শিকারের দিকে। একই ক্ষিপ্রতার সঙ্গে একটি হরিণের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে।
আরও পড়ুন: বৃহত্তম হাইড্রোজেন বোমা বিস্ফোরণের গোপন ভিডিয়ো প্রকাশ করল রাশিয়া
গোটা ঘটনা এতটাই দ্রুততার সঙ্গে হয়ে যায় যে, যিনি ক্যামেরার পিছনে ছিলেন, তিনি এক সময় হরিণের উপর ঝাঁপিয়ে পড়া চিতাবাঘটিকে ফ্রেমে রাখতে পারেননি। তার পর আবার ক্যামেরা ঘুরিয়ে তাদের ধরেন। তখন দেখা যায় হরিণের গলায় কামড়ে, মাটিতে ফেলে তাকে এক প্রকার কব্জা করে ফেলেছে চিতাবাঘটি।
আরও পড়ুন: ৮০ বছর চুলে কাঁচি, চিরুনি ছোঁয়াননি, দেখুন সেই চুল আজ কত লম্বা
সুশান্ত ২৬ অগষ্ট ভিডিয়োটি পোস্ট করেন। মাত্র ২৮ সেকেন্ডের ভিডিয়োটি ভাইরাল হতে সময় নেয়নি। দু’দিনের কম সময়েই ১৩ হাজারের বেশি বার দেখা হয়েছে। তবে ভিডিয়োটি কবে, কোথায় ক্যামেরাবন্দি হয়েছে, সে সম্পর্কে কিছু তথ্য দেননি সুশান্ত।
দেখুন সেই ভিডিয়ো: