প্রতীকী চিত্র। ছবি: শাটারস্টক।
অনেক দিন ধরেই পালিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছিল। কিন্তু শেষে মহিলা পুলিশ অফিসারের পাতা ফাঁদে পা দিতে হল। শুক্রবার মধ্যপ্রদেশের ছাতারপুর নওগাঁর পুলিশের জালে ধরা পড়ে এক দুষ্কৃতী। যে ভাবে বিয়ের টোপ দিয়ে তাকে ধরে ওই মহিলা পুলিশ অফিসার তা প্রশংসা কুড়াচ্ছে নেটিজেনদের কাছে।
বছর পঞ্চান্নর বালকৃষ্ণ চৌবের বিরুদ্ধে একাধিক খুন, ডাকাতির অভিযোগ রয়েছে। মধ্যপ্রদেশের ছাতারপুর খাজুরাহ এলাকায় দুষ্কর্ম চালাত বালাকৃষ্ণ। দুষ্কর্ম করেই উত্তরপ্রদেশ পালিয়ে যেত। এই বৃহস্পতিবারের আগে পর্যন্ত প্রতি বারই পুলিশের হাত ফস্কে পালিয়েছে। এমনকি তার ডেরাতেও একাধিকবার অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। কিন্তু কোনও ভাবেই তাকে পাকড়াও করা যায়নি।
সম্প্রতি বেশ কয়েক মাস ধরে বালকৃষ্ণের কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। কিন্তু পুলিশ তার খোঁজে তক্কে তক্কে ছিল। সম্প্রতি এক সাগরেদকে বালকৃষ্ণ বার্তা পাঠায়। বলে সে বিয়ে করবেন, তার জন্য কনে খুঁজতে। সেই বার্তাই পুলিশকে নতুন করে আশার আলো দেখায়। এই সূত্র ধরেই বালকৃষ্ণকে ফাঁদে ফেলার ছক কষে পুলিশ।
ছাতারপুর নওগাঁ ব্লকের গারৌলি পুলিশ চৌকির দায়িত্বপ্রাপ্ত সাব ইন্সপেক্টর মাধবী অগ্নিহোত্রীর উপর ভার পড়ে বালকৃষ্ণকে ধরার। ছক সাজান মাধবী। তাঁর একটি পুরনো ছবি দিয়ে বালকৃষ্ণের কাছে বিয়ের প্রস্তাব পাঠান।
আরও পড়ুন: রেস্তরাঁর মহিলা কর্মীকে গাড়ি উপহার দিলেন এক দম্পতি, কেন জানুন
মাধবীর এই পরিকল্পনার প্রশংসা করেন, নওগাঁয়ের সাব-ডিভিশনাল পুলিশ অফিসার (এসডিপিও) শ্রীনাথ সিংহ বাঘেল। গোটা অভিযানের জন্য একটি দলও তৈরি হয়। সেখানে নেতৃত্বে থাকেন মাধবী, তাঁর সঙ্গে এসআই অতুল ঝা, মনোজ যাদব, এএসআই জ্ঞান সিংহ ও তিন কনস্টেবল।
আরও পড়ুন: একাকী ৮২ বছরের বৃদ্ধার ঘরে চুরি করতে ঢুকে কী হাল হল দেখুন চোরের
মাধবীর ছবি পছন্দ হয় বালকৃষ্ণের। দেখা করার ইচ্ছেও প্রকাশ করেন। এবার শুরু হয় আসল অভিযান। বৃহস্পতিবার বালকৃষ্ণকে দেখা করার জন্য ডেকে পাঠান মাধবী। ঠিক হয় নওগাঁ থানার সীমার ঠিক কাছেই উত্তরপ্রদেশের বিজোরি গ্রামে দেখা হবে বালকৃষ্ণ ও মাধবীর।
আরও পড়ুন: চোখের পলক পড়ার আগেই সাপের মুখে হরিণ! ভাইরাল ভিডিয়ো
নির্দিষ্ট সময়ের আগেই মাধবী ও তাঁর টিম পৌঁছে যায় বিজোরি, সব পুলিশ কর্মী ছিলেন সাধারণ পোশাকে। কিছুক্ষণ পরেই জালে পা দিতে চলে আসে বালকৃষ্ণ চৌবে। চক্রব্যূহে প্রবেশ করতেই সঙ্কেত পাঠান মাধবী। বালকৃষ্ণ কিছু বুঝে ওঠা বা তার দেশি বন্দুক বার করার আগেই মাধবী ও অন্য পুলিশ কর্মীরা তাকে কব্জা করে ফেলেন।
কনে দেখতে এসে শেষে শ্রীঘরে ঢুকতে হবে তা মনে হয় স্বপ্নেও ভাবেনি বালকৃষ্ণ চৌবে। শুক্রবার তাকে আদালতে তোলা হলে জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।