প্রতীকী ছবি।
বিয়ের আগেই সব মিলিয়ে ১২ লক্ষ টাকা-সহ সোনার গয়না পণ চেয়েছিল পাত্রপক্ষ। তবে সে দাবি মেটালেও পাত্রপক্ষের চাহিদার শেষ নেই। এ বার দাবি, প্রায় ৫ থেকে ১০ লক্ষ টাকা অর্থমূল্যের ২১টি নখওয়ালা একটি বিরল কচ্ছপ এবং কালো রঙের ল্যাব্রাডর দিতে হবে। তবে কচ্ছপ জোগাড় করতে অপারগ হওয়ায় বিয়েই ভেঙে দিয়েছিল পাত্রপক্ষ। পণের টাকাও ফেরত দেয়নি বলে অভিযোগ। শেষমেশ ধৈর্যের বাঁধ ভেঙেছে পাত্রীপক্ষের। পণ নেওয়ার অভিযোগে মহারাষ্ট্রের ওই পাত্র-সহ তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করে পাত্রীর পরিবার।
পুলিশ সূত্রে খবর, মঙ্গলবার ভারতীয় সেনাবাহিনীর এক জওয়ান এবং তাঁর পরিবারের পাঁচ জনের বিরুদ্ধে ওসমানপুরা থানায় এফআইআর করা হয়েছে। আদতে অওরঙ্গাবাদের ওই পরিবারের পাত্র নাশিকে থাকেন। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ওই সেনা জওয়ানের বিয়ের পাকা কথা হয়েছিল। পাত্রীপক্ষের অভিযোগ, পাকা কথার আগেই ২ লক্ষ টাকা-সহ ১০ গ্রাম সোনা পণ দেওয়া হয়েছিল পাত্রপক্ষকে। পাকা কথার পর দাবি ছিল আরও ১০ লক্ষ টাকা। এমনকি, ১০ লক্ষ টাকার বদলে পাত্রীকে সরকারি চাকরির প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিল ওই জওয়ানের পরিবার। অভিযোগ, সে টাকা দিলে পাত্রীর সরকারি চাকরি তো দূরস্থান, পণের দাবি দিনের পর দিন বে়ড়েই গিয়েছিল। এ বার বিরল প্রজাতির কচ্ছপ, ল্যাব্রাডরের সঙ্গে বুদ্ধমূর্তি এবং দামি ল্যাম্প স্ট্যান্ডের দাবি করে পাত্রপক্ষ।
প্রসঙ্গত, ২১টি নখওয়ালা ওই বিরল প্রজাতি কচ্ছপ ভাগ্যবদল করতে পারে বলে অনেকের বিশ্বাস। তবে কোনও ভাবেই সে কচ্ছপ খুঁজে পায়নি পাত্রীপক্ষ। যার জেরে বিয়ে ভেঙে দেয় পাত্রপক্ষ। তবে পণের টাকা বা সোনার কিছুই ফেরত দিতে রাজি নয় তারা। এর পরই পুলিশে যায় পাত্রীর পরিবার।
তদন্তকারী সাব-ইনস্পেক্টর সাধনা অবহাড় বলেন, ‘‘পণের দাবি মেটাতে না পেরে পাত্রীর বাবা অত্যন্ত অসহায় হয়ে আমাদের কাছে এসেছিলেন। ওই পাত্র-সহ মোট ছ’জনের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪২০, ৪০৬ এবং ৩৪ ধারায় বিশ্বাসভঙ্গ এবং প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তদন্তের পর হয়তো আরও ধারা যোগ করা হবে।’’