উত্তরাখণ্ডের কেম্পটি জলপ্রপাতের কাছে পর্যটকদের এমনই ভিড় দেখা গিয়েছে। ছবি: সংগৃহীত।
জলপ্রপাতের কাছে তিলধারণের জায়গা নেই। অনেকেই স্নানে ব্যস্ত। কেউ বা সপরিবার ছুটি কাটানোর মেজাজে। কেউ ছবি তোলায় মন দিয়েছেন। তবে কারও মুখে মাস্ক নেই। একে অপরের থেকে দূরে থাকার বিধি মেনে চলা তো দূর অস্ত্। উত্তরাখণ্ডের মুসৌরির কেম্পটি জলপ্রপাতের কাছে পর্যটকদের এমনই ভিড় দেখা গিয়েছে। বুধবার নেটমাধ্যমে সেই ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়তেই তা ভাইরাল হয়েছে। যা দেখে আঁতকে উঠেছেন বহু নেটাগরিক। করোনা সংক্রমণের আতঙ্ককে তু়ড়ি মেরে ওই পর্যটকদের এ হেন আচরণের সমালোচনা করতেও ছাড়েননি তাঁরা।
সংক্রমণ রুখতে রাজ্যে লকডাউনের মেয়াদ ১৩ জুলাই পর্যন্ত বাড়িয়েছে উত্তরাখণ্ড সরকার। তবে কিছু ক্ষেত্রে ছাড়ও দেওয়া হয়েছে। আরটি-পিসিআর টেস্টে সংক্রমণ ধরা না পড়লে সে শংসাপত্র দেখিয়ে উত্তরাখণ্ডে ঘুরতে পারবেন পর্যটকেরা। হোটেল-রেস্তরাঁয় অর্ধেক ভর্তি করা যাবে। দোকানবাজার বা ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান সপ্তাহে পাঁচ দিনের বদলে ছ’দিন খোলা থাকবে। এর পরই পর্যটকদের ভিড়ে রীতিমতো ট্র্যাফিক জ্যাম মুসৌরি গাঁধী চক, কুদলি বাজার, মল রোড এলাকায়। ভিড় নৈতিতালের মতো পর্যটনস্থলেও।
কেম্পটি জলপ্রপাতের কাছে ভিড়ের ছবি দেখে ফের সংক্রমণ বাড়ার আতঙ্ক ছড়িয়েছে। এক নেটাগরিকের টুইট, ‘কেম্পটিতে নির্বোধেরা।’ অনেকে তো আবার রেগে কাঁই। লিখেছেন, ‘স্নান করো আর মরে যাও।’ পর্যটকদের ‘বোকামো’ নিয়ে এক জনের মন্তব্য, ‘এঁদের সকলেরই মস্তিষ্কে একসঙ্গে একটামাত্র কোষ রয়েছে।’