প্রতীকী চিত্র।
অন্যের গাড়ির নম্বর মনে রাখা বেশ কঠিন। কিন্তু ধরুন, কোনও গাড়ির শেষ চারটি সংখ্যা যদি এমন হয়, ০০০১, ০০০২, ০০০৩ বা ০০০৯, তাহলে তা চোখে পড়তে বাধ্য। আর এমন নম্বর ভুলে যাওয়ারও কিছু নেই। এই বিশেষ বিশেষ সংখ্যাগুলির প্রতি অনেকেরই বাড়তি আকর্ষণ থাকে। এগুলিকেই 'ফ্যান্সি নম্বর' হিসেবে নিলামের মাধ্যমে বিক্রি করে অনেক পরিবহণ দফতর। আর অনেকেই এমন মনের মতো কোনও ফ্যান্সি নম্বর পেতে লাখ লাখ টাকাও খরচ করেন। দিল্লির পরিবহণ দফতরই প্রতি বছর কয়েক কোটি টাকা করে আয় করে এই ফ্যান্সি নম্বর বিক্রি করে। যেমন করোনা অতিমারির পর থেকে এ পর্যন্ত সব থেকে বেশি দামে বিক্রি হল একটি ফ্যান্সি নম্বর। যার দাম পড়ল ১০ লাখ টাকারও বেশি।
করোনা পরিস্থিতির জন্য মার্চ মাসে অনলাইনে এই ফ্যান্সি নম্বরের নিলাম বন্ধ করে দেয় দিল্লি সরকার। এপ্রিল মাসে ফের চালু হয়। তার পর থেকে এ পর্যন্ত নিলাম হওয়া নম্বরগুলির মধ্যে ‘০০০৯’-টি সব থেকে বেশি দামে বিক্রি হল। ১১ সেপ্টেম্বর নিলামে এটির দর ওঠে ১০.১ লাখ টাকা।
সেপ্টম্বরে আরও দু’টি ফ্যান্সি নম্বর নিলাম হয় একটি ০০০৩ এবং অন্যটি ০০০৭। এই দু’টি নম্বরই ৩.১ লাখ টাকা করে বিক্রি হয়। এর আগে জুলাই মাসে একটি নম্বর ৭.১ লাখ টাকায় বিক্রি হয়েছিল। জুলাই মাসে এমন ফ্যান্সি নম্বর বিক্রি করে দিল্লির পরিবহণ দফতর মোট ৩৩.৮ লাখ টাকা আয় করেছে, অগস্ট মাসে সেই পরিমাণটা দাঁড়ায় ৩৩.৩ লাখে।
আরও পড়ুন: অবশেষে কাল বাবরি মসজিদ মামলার রায়, চার নজরে ২৮ বছর
আরও পড়ুন: অ্যাপলের ঘোষণার আগেই ফাঁস হয়ে গেল ‘আইফোন ১২’-র লঞ্চের তারিখ, ফিচার, দাম
দিল্লির পরিবহণ দফতর এপ্রিল থেকে অগস্ট পর্যন্ত মোট ৯৯.৬ লাখ টাকা আয় করেছে এই খাতে। গত বছর এই পরিমাণটা ছিল প্রায় চার কোটি ৬০ লাখ টাকা। এর আগে ২০১৭ সালে একটি সংস্থা ‘০০০১’ নম্বরটি ১৬ লাখ টাকায় কিনেছিল। যেটি এখনও পর্যন্ত সব থেকে বেশি দামে বিক্রি হওয়া নম্বর।