থাপ্পড়ের সেই দৃশ্য। ছবি: সংগৃহীত
কোভিড বিধি ভঙ্গের অভিযোগে এক পথচারী যুবককে থাপ্পড় মেরেছিলেন জেলাশাসক। ছত্তীসগঢ়ের রাস্তায় তাঁর থাপ্পড়ের সেই ভিডিয়ো নেটমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। রবিবার সেই ঘটনার জেরে জেলাশাসকের পদ থেকেই অপসারণ করা হল তাঁকে। ছত্তীসগঢ়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল নিজে তাঁর অপসারণের নির্দেশ দিয়েছেন। জানিয়েছেন, তাঁর রাজ্যে এই ধরনের হঠকারিতা বরদাস্ত করা হবে না।
অভিযুক্ত আমলার নাম রণবীর শর্মা। ছত্তীসগঢ়ের সুরজপুর জেলার প্রাক্তন জেলাশাসক তিনি। নেটমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, রাস্তায় এক যুবককে সজোরে থাপ্পড় কষাচ্ছেন রণবীর। ওই যুবক তাঁকে মোবাইলে কিছু দেখাতে চাইলে তাঁর মোবাইলটিও রাস্তায় ছুড়ে ফেলে দিচ্ছেন তিনি। এরপর উপস্থিত দুই পুলিশ কর্মীকে ওই যুবককে লাঠিপেটা করার নির্দেশ দেন রণবীর। যা অনতিবিলম্বেই পালন করা হয়।
আক্রান্ত যুবক আমন মিত্তলের বাড়ি সুরজপুরেই। তাঁর বয়স ২৩। কোভিড পরিস্থিতিতে ছত্তীসগড়ে লকডাউন চলছে । ঘটনার দিন মোটর সাইকেলে বাড়ি ফিরছিলেন আমন। তখনই রণবীর এবং তাঁর দলের মুখে পড়েন তিনি। ঘটনাটির জন্য ওই যুবক এবং তাঁর পরিবারের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী বাঘেল। ভিডিয়োটির তীব্র প্রতিক্রিয়া হয়েছে নেটাগরিকদের মধ্যেও।
আমলার আচরণের তীব্র নিন্দা করেছেন নেটাগরিকরা। অবিলম্বে তাঁর অপসারণের দাবি তুলেছেন তাঁরা এমনকি রণবীরের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করার কথাও বলেছেন।
পরে এই ঘটনা ক্ষমা চাইতে বাধ্য হয়েছেন ওই আমলাও। যদিও তিনি বলেছেন, তাঁর সঙ্গে ওই যুবক দুর্ব্যবহার করেছিল বলেই তিনি থাপ্পড় মেরেছেন। তবে তাঁর যে সংযত হওয়া উচিত ছিল, সেকথাও মেনে নিয়েছেন রণবীর।
আপাতত রণবীরকে সুরজপুরের জেলাশাসকের পদ থেকে সরিয়ে নব-রায়পুরের মন্ত্রালয়ের যৌথ সচিব (ওয়েটিং) করা হয়েছে। সুরজপুরে তাঁর স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন রায়পুর জেলা পঞ্চায়েতের সিইও গৌরবকুমার সিং।