গ্রাফিক: তিয়াসা দাস
এবার নতুন মোটর ভেহিকল আইনে জরিমানার কবলে পড়লেন এক গরুর গাড়ির মালিক। ঠিকই পড়ছেন, যে গাড়িতে মোটরই নেই, গরুতে টানে, তাকেই নাকি মোটর ভেহিকল আইনে জরিমানা করা হয়েছিল। এমনই ঘটনা সামনে এল।
সেপ্টেম্বর থেকে নতুন মোটর ভেহিকল অ্যাক্ট কার্যকর হওয়ার পর থেকে একের পর এক আজব জরিমানার ঘটনা সামনে আসছে। কখনও সিটবেল্ট না পরার জন্য অটো চালকে জরিমানা, কখনও আবার গরুর গাড়ির মালিককে জরিমানার চালান ধরানো হচ্ছে মোটর ভেহিকল আইনে।
ঘটনা হল, দেহরাদূনের কাছে চাবরা গ্রামেনিজের খামারের বাইরে রাস্তার ধারে গরুর গাড়িটি দাঁড় করিয়ে রেখেছিলেন রিয়াজ হাসান নামে এক ব্যক্তি। ওই সময় রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিল একটি পুলিশের গাড়ি। রাস্তার পাশে গরুর গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে, সেটিকার গাড়ি খোঁজ নিতে শুরু করেন পুলিশ কর্মীরা। জানতে পারেন এটি হাসান নামে এক ব্যক্তির গাড়ি। কিন্তু হাসান সেখানে ছিলেন না। তিনি ছিলেন বাড়িতে।
আরও পড়ুন : সিটবেল্ট নেই, তাও অটো চালককে বেল্ট না পরার জন্য জরিমানা
পুলিশ এরপর গরুর গাড়িটি নিয়ে খামার থেকে হাসানের বাড়িতে পৌঁছে যায়। সেখানে গিয়ে হাসানকে নতুন মোটর ভেহিকল আইনের ৮১ নম্বর ধারায়, ১০০০ টাকার একটি জরিমানার রসিদ ধরিয়ে দেন পুলিশ কর্মীরা। আকাশ থেকে পড়েন হাসান। তিনি বলেন, গরুর গাড়িটি তিনি নিজের খামারের জায়গায়েই দাঁড় করিয়ে রেখেছিলেন। আর গরুর গাড়িতো মোটর ভেহিকল আইনের আওতায় পড়েও না। তাহলে কেন তাঁকে জরিমানার রসিদ ধরানো হচ্ছে? হাসানের এই কথা শুনে নিজেদের ভুল বুঝতে পারেন পুলিশ কর্মীরা। তাঁরা জরিমানার চালান ফিরিয়ে নেন।
আরও পড়ুন : বাবার ভিডিয়ো দেখে কেঁদে ফেললেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো
বিষয়টি জানাজানি হতেই, যোগাযোগ করা হয় পুলিশ কর্তাদের সঙ্গে। তাঁরা বলেন, ওই এলাকায় অবৈধ বালি খাদান চলে। গরুর গাড়িতে করেই সেই সব বালি পাচার হয়। পুলিশ কর্মীরা ভেবেছিলেন হাসানের গরুর গাড়ি সেই পাচারের কাজেই ব্যবহার হচ্ছিল। তাই হাসানকে ধরা হয়। পুলিশ কর্মীরা হাসানকে আইপিসি-র ধারায় অভিযুক্ত করতে গিয়ে ভুল করে মোটর ভেহিকল আইনে চালান কেটে ফেলেন। পরে অবশ্য পুলিশ কর্মীরা ভুল বুঝতে পারেন।