ভাগিরথী আম্মা। ছবি: টুইটার থেকে নেওয়া।
সংসারের চাপ, প্রতিকূল পরিস্থিতিতে অনেকেই তাঁদের স্বপ্ন পূরণ করতে পারেন না। কিন্তু যদি জেদ থাকে, তাহলে ১০০ বছর পরেও নিজের ইচ্ছে পূরণ করা যায়, দেখিয়ে দিলেন কেরলের ১০৫ বছরের এক মহিলা।
গত বছর কার্তায়নী আম্মা নামে কেরলেরই এক মহিলার খবর ভাইরাল হয়েছিল। যিনি ৯৬ বছর বয়সে কেরলের স্বাক্ষরতা মিশনে নাম লেখান। শুধু তাই নয়, ৯৮ শতাংশ নম্বরও পান তিনি।
বয়সের সেই রেকর্ড এবার ভেঙে দিলেন কোল্লামের ভাগীরথী আম্মা। তিনি ১০৫ বছর বয়সে স্কুলের পাঠ নিতে ভর্তি হয়েছেন। একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানাচ্ছে, ভাগীরথী আম্মা কেরলের স্বাক্ষরতা মিশনের অন্তর্গত পাঠক্রমে চতুর্থ শ্রেণির মানের পরীক্ষা দিতে বসেন ১৯ নভেম্বর। পরীক্ষার ফল বেরতে এখনও দেরি আছে। তবে এখনই তিনি দেশ জুড়ে পরিচিতি পেয়ে গিয়েছেন।
আরও পড়ুন: আখের খেতে উদ্ধার চিতাবাঘের ৩ বাচ্চা, রাতে এসে নিয়ে গেল মা
ভাগীরথী আম্মাকে ন’বছর বয়সে স্কুল ছাড়তে হয়েছিল। কারণ সেই বয়সেই তাঁর কাঁধে চাপে ছোট ভাই বোনদের দেখাশোনার দায়িত্ব। ৩০ বছর বয়সে স্বামীকে হারান। ফের একার কাঁধে এসে পড়ে চার মেয়ে, দুই ছেলেকে মানুষ করার দায়িত্ব।
আরও পড়ুন: মুম্বইয়ের প্রথম ‘হোম সিস্টেম’ অটোতে পাবেন বেসিন, কুলার, কম্পিউটার মনিটর
এত দায়িত্ব পালন করে, এত বছর কেটে যাওয়ার পরেও তাঁর শিক্ষার প্রতি টান কমেনি। কেরলের স্বাক্ষরতা মিশনের কর্মীরা যখন তাঁর কাছে যান, সঙ্গে সঙ্গে তিনি সেই সুযোগ গ্রহণ করেন। ফের শুরু করেন পড়াশোনা। পরীক্ষার ফল কী হবে সেটা বড় কথা নয়, নেটিজেনরা বলছেন ভাগীরথী আম্মার এই ইচ্ছা এবং জেদ কুর্নিশ যোগ্য।