Viral

ময়ূর হত্যার অভিযোগে পিটিয়ে মারা হল এক ব্যক্তিকে!

নীলমুচ জেলার পুলিশ সুপার রাকেশ সাগর জানিয়েছেন, ১০০-তে ডায়াল করে কেউ একজন পুলিশে খবর দেন। তারপরই পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে আক্রন্তকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। কিন্তু তাঁকে বাঁচানো যায়নি

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

ভোপাল শেষ আপডেট: ২০ জুলাই ২০১৯ ২১:৪৫
Share:

প্রতীকী চিত্র

ময়ূর মারার অভিযোগে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে মারল ক্ষিপ্ত জনতা। শুক্রবার মধ্যপ্রদেশের নীমুচ জেলার লাসুদিয়া আত্রি গ্রামের ঘটনা। মৃত ব্যক্তিকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে সেখানেই মারা যান। মৃতের নাম হীরালাল বাঞ্চাদা। এই ঘটনার দিন দু’য়েক আগে এই জেলাতেই ছাগল চুরির অভিযোগে তিন ব্যক্তিকে নগ্ন করে মারধার করা হয়। তারপর ফের এই ঘটনা।

Advertisement

নীলমুচ জেলার পুলিশ সুপার রাকেশ সাগর জানিয়েছেন, ১০০-তে ডায়াল করে কেউ একজন পুলিশে খবর দেন। তারপরই পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে আক্রন্তকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। কিন্তু তাঁকে বাঁচানো যায়নি। হাসপাতালেই তাঁর মৃত্যু হয়।

ঘটনায় ১০ জনকে আটক করা হয়েছিল। তাদের মধ্যে ৯ জনকেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে খুন ও হাঙ্গামার অভিযোগে মামলা দায়ের হয়েছে। এমনকি,মৃত ব্যক্তি, তাঁর ছেলে রাহুল ও অন্য দুজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে বন্যপ্রাণী রক্ষা আইনে। আইন অনুযায়ী ভারতের জাতীয় পাখি ময়ূর মারা নিষিদ্ধ। কেউ যদি এই অভিযোগে দোষী সাবস্ত হন তবে ৭ বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে।

Advertisement

আরও পড়ুন : ‘মেয়েদের জন্য বিয়ার’ আনার কথা প্রচার করে বিতর্কে গুরুগ্রামের পানশালা

আরও পড়ুন : উচ্চতা মাত্র ৩ ফুট, বিশ্বের খর্বতম চিকিত্সক হবেন গণেশ

শুক্রবার রাত ৯টা নাগাদ এই ঘটনা ঘটে বলে জানা গিয়েছে। প্রথমে গ্রামবাসীরা দেখেন, ক্ষেতের মধ্যে দিয়ে ৪ জন ছুটে যাচ্ছেন। গ্রামবাসীরা তাঁদের তাড়া করে হীরালালকে ধরে ফেলেন। হীরালালের কাছে চারটি মৃত ময়ূর পাওয়া যায় বলে জানা গিয়েছে। তারপরই হীরালালকে মারধর করে সেখানেই ফেলে রেখে যান গ্রামবাসীরা। পরে হাসপাতালে মৃত্যু হয় হীরালালের।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement