প্রতীকী চিত্র।
১৬ বছর আগে ৯ টাকার দুর্নীতি করে ১৫ লক্ষ টাকা জরিমানার মুখে এক বাস কন্ডাক্টর! হ্যাঁ ঠিকই পড়ছেন। মাত্র ৯ টাকা নিজের পকেটে পুরে ছিলেন। সেই মামলায় দোষী সাবস্ত হয়ে ১৫ লক্ষ টাকা খেসারত দিতে হবে তাঁকে। গুজরাতের ঘটনা।
ঘটনাটা ২০০৩ সালের, দিনটা ছিল ৫ জুলাই। গুজরাতের চিখলি থেকে আম্বাচ গ্রাম পর্যন্ত রুটের একটি বাসে কন্ডাক্টার ছিলেন চন্দ্রকান্ত পটেল। সেদিন হঠাৎই কুদভেল গ্রামের কাছে সারপ্রাইজ চেকিং হয় সেই বাসে। সেখানে দেখা যায় এক যাত্রীর কাছে টিকিট নেই। টিকিট কোথায় জানতে চাওয়ায় তিনি বলেন, বাস কন্ডাক্টরকে তিনি ৯ টাকা দিয়েছেন। কিন্তু টিকিট পাননি।
গুজরাত স্টেট রোড ট্রান্সপোর্ট কর্পোরেশন (জিএসআরটিসি)-র তদন্তে চন্দ্রকান্তকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। তাঁর বেতন থেকে দুটি ইনক্রিমেন্ট কমিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে বলা হয় যতদিন চন্দ্রকান্ত চাকরি করবেন, তাঁর বেতন বাড়বে না। নির্দিষ্ট একটি বেতনেই তাঁকে চাকরি করতে হবে।
আরও পড়ুন : ছিলেন স্কুল শিক্ষক, এখন কয়েক হাজার কোটি টাকার মালিক
আরও পড়ুন : পাকিস্তান ‘সন্ত্রাসবাদী রাষ্ট্র’ মন্তব্যকে ‘লাইক’ করে বিতর্কে পাক পেসার মহম্মদ আমির
এমনকি এই মামলা গুজরাত হাইকোর্টেও যায়। কিন্তু সেখানেও জিএসআরটিসি-র সিদ্ধান্তই বহাল থাকে। চন্দ্রকান্তর আবেদন খারিজ হয়ে যায়। শুধু তাই নয় এটাও প্রকাশ্যে এসেছে এই ঘটনার আগে এমন ৩৫টি ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে চন্দ্রকান্ত বাসে যাত্রীদের কাছে টাকা নিয়েও টিকিট দেননি। সেই টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন চন্দ্রকান্ত।
গুজারাত হাইকোর্টে চন্দ্রকান্তের আইনজীবী বলেন, এখনও ৩৭ বছর চাকরি বাকি রয়েছে তাঁর মক্কেলের। যদি এভাবে তাঁর বেতন কমিয়ে দেওয়া হয় ও সারাজীবন একই বেতনে কাজ করতে হয় তবে তিনি প্রায় ১৫ লক্ষ টাকা কম পাবেন।জিএসআরটিসি-র আইনজীবী পাল্টা বলেন, চন্দ্রকান্ত পটেলকে এর আগেও ৩৫ বার হাতেনাতে ধরা হয়েছে। প্রতিবারই তাঁকে হয় সতর্ক করে বা ন্যূনতম জরিমানা করে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তিনি তাঁর আচরণে কোনও পরিবর্তন হয়নি। শোধরানোর চেষ্টা না করে বার বার তিনি এই কাজ করে গিয়েছেন।