শান্ত হচ্ছে ত্রিপুরা, অশান্তি শিলংয়ে

ত্রিপুরা প্রশাসন জনজাতি অধ্যুষিত এলাকাগুলিতে শান্তি ফেরাতে গত কাল থেকেই দুই গোষ্ঠীর প্রতিনিধিদের নিয়ে শান্তি বৈঠক করছে। তাতে ফলও হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আগরতলা ও গুয়াহাটি শেষ আপডেট: ১৪ ডিসেম্বর ২০১৯ ০২:৩৪
Share:

ছবি: পিটিআই।

সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে গত কয়েক দিনের গোলমালের পরে ত্রিপুরায় শান্তি ফিরলেও এখনও উত্তপ্ত মেঘালয়। রবিবার শিলংয়ে পুলিশ অ্যাকাডেমির অনুষ্ঠানে থাকার কথা ছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সফর বাতিল করেছেন তিনি।

Advertisement

ত্রিপুরা প্রশাসন জনজাতি অধ্যুষিত এলাকাগুলিতে শান্তি ফেরাতে গত কাল থেকেই দুই গোষ্ঠীর প্রতিনিধিদের নিয়ে শান্তি বৈঠক করছে। তাতে ফলও হয়েছে। আজ চালু হয়েছে বিভিন্ন অফিস। সেখানে জনজাতি কর্মীদের উপস্থিতি এখনও নগণ্য। শুরু হয়েছে যান চলাচল। বন্‌ধে আটকে থাকা পণ্যবাহী গাড়িগুলিও রওনা দিয়েছে। টানা ৪৮ ঘণ্টা মোবাইল ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ থাকার পরে আজ বিকেল থেকে তা ফের চালুর নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য সরকার। তবে রেল পরিষেবা পুরো স্বাভাবিক হয়নি। আটকে থাকা কাঞ্চনজঙ্ঘা ও ত্রিপুরাসুন্দরী এক্সপ্রেস অবশ্য এ দিন আগরতলায় পৌঁছেছে। আগরতলার স্টেশন ম্যানেজার মুন্না যাদব জানান, পরিস্থিতি খারাপ না-হলে আগামিকাল থেকে নিয়ম মেনে ট্রেন চলাচল করবে।

কিন্তু শিলংয়ে আজ সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত কার্ফু শিথিল করার ঘোষণা করা হলেও রাজভবনের সামনে অশান্তির জেরে ফের বন্‌ধের কবলে চলে যায় গোটা শৈলশহর। নতুন নাগরিকত্ব আইন বাতিল এবং ইনারলাইন পারমিট চালু করার দাবিতে রাজভবনের সামনে জড়ো হন যৌথ মঞ্চের কয়েকশো প্রতিবাদকারী। রাজ্যপাল তথাগত রায়ের মন্তব্যের জেরে তাঁর পদত্যাগের দাবিতেও সরব হয় বিভিন্ন সংগঠন। পুলিশ বাধা দিলে তাঁরা পাথর ছোড়েন। কয়েক জন পুলিশ জখম হন। পুলিশ পাল্টা লাঠি ও হুড়োহুড়িতে ৬৩ জন জখম হন।

Advertisement

আরও পড়ুন: শান্তির ডাক দিল আসু, স্বাভাবিক হচ্ছে অসম

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement