National News

কাবেরী ইস্যুতে জ্বলছে কর্নাটক, জারি হল কার্ফু

কাবেরী জলবণ্টন বিবাদে হিংসার জেরে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি কর্নাটকে। সুপ্রিম কোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে সোমবার সকাল থেকেই রাজ্য জুড়ে আক্ষরিক অর্থেই আগুন জ্বলল। বেঙ্গালুরু ও মহীশূরের রাস্তায় পোড়ানো হল লরি। ব্যাহত হল পরিবহণ ব্যবস্থা।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১৭:৪৭
Share:

রাস্তায় জ্বলছে লরি।

কাবেরী জলবণ্টন বিবাদে হিংসার জেরে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি কর্নাটকে। সুপ্রিম কোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে সোমবার সকাল থেকেই রাজ্য জুড়ে আক্ষরিক অর্থেই আগুন জ্বলল। বেঙ্গালুরু ও মহীশূরের রাস্তায় পোড়ানো হল লরি। ব্যাহত হল পরিবহণ ব্যবস্থা। ঘটনার জেরে রাজ্য জুড়ে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হল। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে মহীশূরে ১৪৪ ধারা জারি করেছে প্রশাসন। তবে এই অশান্ত পরিস্থিতির জন্য রাজ্য সরকারকে তীব্র ভর্ৎসনা করেছে সুপ্রিম কোর্ট।

Advertisement

তামিলনাড়ুকে কাবেরী নদী থেকে দৈনিক ১৫ হাজার কিউসেক জল দিতে কর্নাটক সরকারকে গত ৫ সেপ্টেম্বর নির্দেশ দেয় সর্বোচ্চ আদালত। পরে অবশ্য সেই রায় পরিবর্তন করে আগামী ২০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দৈনিক ১২ হাজার কিউসেক জল ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। এর প্রতিবাদে এ দিন হিংসা ছড়িয়ে পড়ে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে। কর্নাটক রাজ্য সড়ক পরিবহণ কর্পোরেশন (কেএসআরটিসি)-এর তরফে তামিলনাড়ুগামী বাস পরিষেবা বাতিল ঘোষণা করা হয়। মহীশূরের বিভিন্ন প্রান্তে অবরোধ কর্মসূচি পালন করা হয়। মানববন্ধন করে রাস্তায় নেমে পড়েন বিক্ষোভকারীরা। শহর জু়ড়ে বিক্ষিপ্ত হিংসার খবরে রীতিমতো আতঙ্কিত রাজ্যবাসী। মহীশূরের বিভিন্ন বেসরকারি স্কুল ও কলেজে পড়ুয়াদের নিরাপত্তার জন্য অতিরিক্ত কর্মী নিয়োগ করা হয়েছে। কয়েকটি স্কুল বন্ধ করে দেওয়া হয়। এ ছাড়া, বাস পরিষেবা বন্ধ থাকায় স্কুলেই আটকে পড়ে ছাত্রছাত্রীরা। অর্ধদিবস ছুটি ঘোষণা করেছেন বিভিন্ন বেসরকারি কলেজ কর্তৃপক্ষ। ইয়েলাহাঙ্কা নিউ টাউন এলাকায় তামিলনাড়ুর একটি লরিতে পাথর ছোড়া হয়। পাথর ছোড়ার খবর এসেছে বাস স্ট্যান্ড থেকেও। পাশাপাশি, শহরের বিভিন্ন প্রান্তে তামিলনাড়ুর রেজিস্ট্রেশন করা লরি-ট্রাক-গাড়িতে আগু়ন লাগিয়ে তা জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। বেঙ্গালুরু শহরে মেট্রো পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে। বিভিন্ন মেট্রো স্টেশনে জোর করে শাটার বন্ধ করে দেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে। রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্যর্থ পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ উঠেছে। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন রাজ্য পুলিশের শীর্ষ কর্তারা। এক শীর্ষ কর্তা জানিয়েছেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে রাজ্য জুড়ে ১৮ হাজার পুলিশকর্মী মোতায়েন করা হয়েছে।

মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়ার কাছে রাজ্যের ২৫ লাখের বেশি তামিল নাগরিকের নিরাপত্তার আর্জি জানিয়ে দরবার করেছেন তামিল সংঘম নামে স্থানীয় এক সংগঠন। পাশাপাশি, কন্নড়দের স্বার্থরক্ষার অনুরোধ করে মুখ্যমন্ত্রী দ্বারস্থ হয়েছেন কর্নাটকের বেশ কয়েকটি সংগঠন।

Advertisement

আরও পড়ুন

ফের সক্রিয় জঙ্গিরা, ইদের আগেও রক্তাক্ত কাশ্মীর

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement