অরবিন্দ সুব্রহ্মণ্যন। —ফাইল চিত্র।
এমনিতেই চাকরির সুযোগ কম। তারই মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে পড়ুয়াদের উপরে হিংসার ফলে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে আরও হতাশা তৈরি হবে বলে মনে করছেন অরবিন্দ সুব্রহ্মণ্যন। জেএনইউয়ে পড়ুয়াদের উপরে হামলার ঘটনা নিয়ে নরেন্দ্র মোদী সরকারেরই প্রাক্তন মুখ্য আর্থিক উপদেষ্টার বক্তব্য, ‘‘আমরা জনসংখ্যায় তারুণ্যের আধিক্যের ফায়দা তুলে ৫ লক্ষ কোটি ডলারের অর্থনীতির কথা বলছি। কিন্তু আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলি যদি রণক্ষেত্রে পরিণত হয়, তা হলে মানবসম্পদ তৈরি হবে না। পড়ুয়াদের আশাও মরে যাবে। হিংসা পড়ুয়াদের ক্ষমতায় ধাক্কা দেবে। জনসংখ্যার সুবিধে পতিত জমিতে পরিণত হবে।’’
শুক্রবারই মুখ্য আর্থিক উপদেষ্টা পদে সুব্রহ্মণ্যনের পূর্বসূরি রঘুরাম রাজন ছাত্রছাত্রীদের উপরে হামলার সময়ে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার সমালোচনা করেছিলেন।
সুব্রহ্মণ্যনের মতে, পড়ুয়াদের উপরে শুধু অস্ত্র হাতে হামলা হয়নি। মতাদর্শগত হিংসাও মিশেছে। জামিয়া, আলিগড় বা জেএনইউ ক্যাম্পাসে পড়ুয়াদের উপরে হিংসা ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ’-এর পরিপন্থী। তাঁর মতে, ‘‘এমনিতেই উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থা তরুণদের হতাশ করছে। ভদ্রস্থ, ভাল মাইনের কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা মিলিয়ে যাচ্ছে। তার উপরে হিংসা চাপলে আরও নিরাশা তৈরি হবে।’’
আরও পড়ুন: ভুয়ো সংঘর্ষ, সিবিআই তদন্তে রুষ্ট বিচারক
বিভিন্ন ধর্মবিশ্বাসের পড়ুয়ারা একসঙ্গে আন্দোলনে নামাটা আশার খবর বললেও রঘুরাম বলেছিলেন, ‘‘অনেকেই সরকারের সমালোচনা করতে গিয়ে ভয়ে রয়েছেন। কারণ, সমালোচকদের কী হাল হয়, তা উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরা হচ্ছে।’’ সুব্রহ্মণ্যনের প্রশ্ন, ‘‘পড়ুয়াদের উপরে কেন হামলা হচ্ছে? তাদের মত প্রকাশের অধিকার কাজে লাগানোর জন্য? অনেক ভারতীয়কে দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিকে পরিণত করা হবে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করার জন্য? এই উদ্বেগ কি বাড়াবাড়ি? তা হলেও তাদের কথা শোনা উচিত।’’