Cyclone Biparjoy

১৫০ কিমি দূরে ‘বিপর্যয়’, পোষ্যদের টানে তবু শেষ মুহূর্তে উপকূলে ছুটছেন গ্রামবাসীরা

পোষ্যদের টানে নিরাপদ স্থানে গিয়েও শান্তি পাচ্ছেন না গ্রামবাসীরা। কেউ কেউ পোষ্যদের খাওয়াতে আবার গ্রামে ফিরে যাচ্ছেন। ঝড়ের মুখে প্রাণের তোয়াক্কা করছেন না অনেকেই।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

গান্ধীনগর শেষ আপডেট: ১৫ জুন ২০২৩ ১৫:৪৮
Share:

কচ্ছে ঘূর্ণিঝড় ‘বিপর্যয়’ আছড়ে পড়ার আগে রাস্তার কুকুরদের খাওয়ানো হচ্ছে। ছবি: পিটিআই।

বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী যুদ্ধকালীন তৎপরতায় গুজরাতে উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় ‘বিপর্যয়ের’ ভ্রুকুটি ক্রমশ দৃঢ় হচ্ছে উপকূল এলাকায়। বৃহস্পতিবার বিকেলেই স্থলভাগে প্রবেশ করতে পারে ঘূর্ণিঝড়। ইতিমধ্যে গুজরাতের উপকূল এলাকা থেকে প্রায় এক লক্ষ মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। কিন্তু ‘বিপর্যয়ের’ মাঝেও দলে দলে সেই উপকূলেই ফিরে যাচ্ছেন গ্রামবাসীদের একাংশ। ফেলে আসা পোষ্যদের টান ছিন্ন করতে পারেননি তাঁরা।

Advertisement

বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর উদ্ধারকারীরা উপকূল এলাকার গ্রামগুলি প্রায় ফাঁকা করে দিয়েছেন। উপকূল থেকে নিরাপদ স্থানে তাঁদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। গ্রামবাসীরা আশ্রয় পেয়েছেন ত্রাণশিবিরে। সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, এর মধ্যে থেকেই অনেক গ্রামবাসী আবার গ্রামে ছুটে যাচ্ছেন। কারণ, সেখানে তাঁরা তাঁদের পোষ্যদের ফেলে এসেছেন। পোষ্যদের খাওয়াতে প্রাণ বাজি রেখে আবার গ্রামে ফিরতে বাধ্য হচ্ছেন তাঁরা।

কচ্ছ জেলার মাণ্ডবী এলাকার এক গ্রামবাসী বলেন, ‘‘পোষ্যদের যত্ন তো আমাদেরই নিতে হবে। আমি আমার ঘোড়াগুলোকে খাওয়াতে আবার এখানে এসেছি।’’

Advertisement

শুধু ঘোড়া নয়, রাস্তার কুকুর, গরু, ছাগল, ভেড়াকেও খাবার দেওয়া হয়েছে। কচ্ছের রাস্তায় ঘূর্ণিঝড় ‘বিপর্যয়’ আছড়ে পড়ার আগে পশুদের খাওয়ানোর ছবি ধরা পড়েছে।

মৌসম ভবনের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ঘূর্ণিঝড় ‘বিপর্যয়’ গুজরাত উপকূল থেকে আর ১৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে। বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টে থেকে সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে তা স্থলভাগে আছড়ে পড়তে পারে। ঝড়ের প্রভাবে ঘণ্টায় ১২৫ থেকে ১৩৫ কিলোমিটার বেগে হাওয়া বইবে উপকূল এলাকায়। কোথাও কোথাও হাওয়ার বেগ পৌঁছতে পারে ১৫০ কিমি প্রতি ঘণ্টাতে।

গুজরাতে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর ১৮টি দল এবং রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর ১২টি দল সক্রিয়। এ ছাড়া, উদ্ধারকাজে প্রস্তুত আছে সেনাও। নৌসেনাকেও প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ইতিমধ্যে উপকূল এলাকায় ঝড়ের প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। ভারী বৃষ্টি শুরু হয়েছে কচ্ছ, দ্বারকা, মাণ্ডবীর মতো এলাকায়। সঙ্গে রয়েছে ঝোড়ো হাওয়া। সমুদ্রে জলোচ্ছ্বাসের মাত্রাও ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঝড়ের গতিবিধির দিকে কড়া নজর রেখেছেন আবহবিদেরা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement