কাশ্মীরের বিশ্বাস পেতে মোদীর ভরসা ‘বিকাশ’

উন্নয়নের উপরে ভরসা করে কাশ্মীরের ‘বিশ্বাস’ ফিরে পেতে চাইছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আজ সে কথাই জানালেন জম্মু-কাশ্মীরের পঞ্চায়েত প্রধানদের। জম্মু-কাশ্মীর পঞ্চায়েত কনফারেন্সের ত্রিশ জন প্রতিনিধির সঙ্গে আজ দেখা করেন মোদী।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি ও শ্রীনগর শেষ আপডেট: ০৬ নভেম্বর ২০১৬ ০৩:০৩
Share:

উন্নয়নের উপরে ভরসা করে কাশ্মীরের ‘বিশ্বাস’ ফিরে পেতে চাইছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আজ সে কথাই জানালেন জম্মু-কাশ্মীরের পঞ্চায়েত প্রধানদের।

Advertisement

জম্মু-কাশ্মীর পঞ্চায়েত কনফারেন্সের ত্রিশ জন প্রতিনিধির সঙ্গে আজ দেখা করেন মোদী। বৈঠকে হাজির ছিলেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালও। কাশ্মীরের পরিস্থিতি নিয়ে তাঁদের উদ্বেগের কথা জানান পঞ্চায়েত কনফারেন্সের চেয়ারম্যান শফিক মির। স্কুল পোড়ানোর ফলে পড়ুয়াদের ক্ষতির কথা বলেছেন তিনি। সেইসঙ্গে জানিয়েছেন, পঞ্চায়েতের হাতে ক্ষমতা না থাকায় জম্মু-কাশ্মীরে কেন্দ্রীয় সহায়তা গ্রাম পর্যন্ত পৌঁছাচ্ছে না। তাই সংবিধানের ৭৩, ৭৪তম সংশোধনের সুফল জম্মু-কাশ্মীরেও পৌঁছে দেওয়ার দাবি করেন শফিক। একই সঙ্গে পুরসভা ও পঞ্চায়েতের নির্বাচনও দ্রুত করানোর আর্জি জানানো হয়। ২০১১ সালের পর যে নির্বাচন এখনও পর্যন্ত হয়নি।

পঞ্চায়েত প্রধানদের কথা শোনার পরে প্রধানমন্ত্রী জানান, কাশ্মীরে কেন্দ্রের যে কোনও উদ্যোগের মূল কথা হল ‘বিকাশ’ ও ‘বিশ্বাস’। উন্নয়নের জোয়ার এনেই ফের উপত্যকাবাসীর মন পেতে চায় দিল্লি। পুড়ে যাওয়া স্কুলের পড়ুয়াদের জন্য বিকল্প পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হবে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।

Advertisement

তবে ১৬ বছরের এক কিশোরের অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘিরে আজও উত্তপ্ত ছিল কাশ্মীরের আবহাওয়া। ২৫ অক্টোবর থেকে নিখোঁজ ছিল শ্রীনগরের ইদগাহ এলাকার বাসিন্দা বছর ষোলোর কাইজার সফি। দিন ছয়েক আগে তাকে অজ্ঞান অবস্থায় পাওয়া যায়। আজ সকালে হাসপাতালে মারা যায় কাইজার। তার পরেই স্থানীয়দের একাংশ দাবি করেন, নিরাপত্তা বাহিনীই কাইজারকে বিষ খাইয়েছে। শুরু হয় বিক্ষোভ। বাহিনী-জনতা সংঘর্ষে আহত হন ১২ জন। এ দিনই বান্দিপোরায় পোড়ানো হয়েছে একটি স্কুল। এ নিয়ে উপত্যকায় প্রায় ৩২টি স্কুল পোড়ানো হল।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement