আটকে দেওয়া হয়েছিল বিকাশের কনভয়ের পিছু নেওয়া সংবাদ মাধ্যমের গাড়ি। ছবি ভিডিয়ো থেকে নেওয়া।
গ্রেফতারের পর কানপুর ফেরার পথে পালানোর চেষ্টা করায় শুক্রবার সকালে ‘সংঘর্ষে’ গ্যাংস্টার বিকাশের মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ। ‘সংঘর্ষ’-এর মাত্র আধঘণ্টা আগের একটি ভিডিয়ো সামনে এসেছে যেখানে দেখা যাচ্ছে বিকাশের কনভয়ের পিছু পিছু যাওয়া সংবাদমাধ্যমের গাড়ি আটকে দিচ্ছে পুলিশ। কেন আটকে দেওয়া হয়েছিল সংবাদ মাধ্যমকে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। ওই ঘটনা পূর্ব পরিকল্পিত কি না, সেই প্রশ্নও উস্কে দিচ্ছে ওই ভিডিয়ো।
বিকাশের মৃত্যুর খবর সামনে আসতে উত্তরপ্রদেশ পুলিশের তরফে জানানো হয়, কনভয়ে বিকাশের গাড়ি দুর্ঘটনার কবলে পড়ার পর পুলিশের পিস্তল ছিনিয়ে পালানোর চেষ্টা করে বিকাশ। কানপুরের ‘ডন’ গুলি চালালে আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালায় পুলিশ। তাতেই বিকাশের মৃত্যু হয়।
ভোর ৪টে নাগাদ একটি টোলপ্লাজা পেরনোর সময় কনভয়ের যে গাড়িতে বিকাশ ছিল, সেই গাড়ি কিন্তু দুর্ঘটনার কবলে পড়েনি। তাহলে কি মাঝ পথে বিকাশের গাড়ি বদলানো হয়েছিল? এ নিয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও মন্তব্য করেনি উত্তরপ্রদেশ পুলিশ।
আরও পড়ুন: কানপুরের কাছে গাড়ি দুর্ঘটনা, পালাতে গিয়ে পুলিশের সঙ্গে ‘সংঘর্ষে’ নিহত গ্যাংস্টার বিকাশ দুবে
ঝাঁসি থেকে সংবাদমাধ্যমের বেশ কয়েকটি গাড়ি অনুসরণ করছিল বিকাশের কনভয়কে। ওই ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, বিকাশের এনকাউন্টারের আধ ঘণ্টা আগে সাড়ে ছ’টা নাগাদ পুলিশ ব্যারিকেড করে আটকে দিল সংবাদমাধ্যমের গাড়িগুলিকে। সাচেন্দ্রী এলাকায় আটকে পড়ে সাংবাদিকরা ব্যারিকেডের এ পারে থেকেই লাইভ রিপোর্ট দিতে থাকেন। কেন কানপুর ঢোকার আগে সাচেন্দ্রী এলাকায় আটকে দেওয়া হল সংবাদমাধ্যমকে? এই প্রশ্ন বিকাশের মৃত্যুরহস্যকে আরও জটিল করেছে।
যেখানে বিকাশের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়, সেখানকার স্থানীয়রা বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি চলার শব্দ শুনেছেন বলে দাবি করেছেন। গুলির শব্দ শুনে কী ঘটছে দেখতে এলে পুলিশ তাঁদের সেখান থেকে চলে যেতে বলেছিল বলে জানিয়েছেন তাঁরা। আশিস পাসওয়ান নামের এক স্থানীয় ব্যক্তি বলেছেন, ‘‘গুলির শব্দ শোনার পর আমরা দেখতে যাই কী হয়েছে। পুলিশ আমাদের চলে যেতে বলায় আমরা বাড়ি চলে এসেছিলাম।’’
আরও পড়ুন: জাতপাত আর রাজনীতির মিশেলেই উত্থান বিকাশের