দেহ খুবলে খাওয়ার চেষ্টা করছে কুকুর। ছবি ভিডিয়ো থেকে নেওয়া।
হাসপাতালের সিঁড়ির পাশে স্ট্রেচারে সাদা কাপড়ে ঢাকা একটি দেহ। রাস্তার একটি কুকুর সেই দেহ খুবলে খাওয়ার চেষ্টা করছে।
উত্তরপ্রদেশের সম্বল জেলার সরকারি হাসপাতালের ২০ সেকেন্ডের এই ভিডিয়ো ক্লিপ প্রকাশ্যে আসতেই শিউড়ে উঠেছেন সবাই। সমালোচনার ঝড় সব মহলে। বুধবারই আলিগড়ে এক সদ্যজাতের মৃত্যুর পর তার পরিবার অভিযোগ করেছিল, মৃত শিশুর দেহে কুকুর বা বিড়ালের আঁচড়ের চিহ্ন রয়েছে। তার পর প্রকাশ্যে এল এই ঘটনা। যা সামনে আসতেই যোগী-রাজ্যে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।
মৃতের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার বিকেলে পথদুর্ঘটনায় জখম হয় মেয়েটি। তার বাবা চরণ সিংহ সংবাদ সংস্থা এএনআইকে বলেন, ‘‘প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে দেহ হাসপাতালের স্ট্রেচারে ফেলে রাখা হয়েছিল। খুব অবহেলা করেছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।’’ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ রাস্তার কুকুর ঢুকে পড়ার ঘটনার কথা স্বীকার করলেও অবহেলার অভিযোগ অস্বীকার করেন।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, রাস্তার কুকুর হাসপাতালে ঢুকে পড়ার সমস্যা দীর্ঘ দিনের। স্থানীয় পুরসভা এবং প্রশাসনকে এর আগে চিঠি লিখে জানানো হলেও কোনও ব্যবস্থা নেয়নি তারা। যদিও বৃহস্পতিবারের ওই ঘটনার জন্য তাঁদের কোনও দায় নেই বলেও জানিয়েছেন হাসপাতালের চিফ মেডিক্যাল সুপারিনটেন্ডেন্ট। উল্টে মৃতের পরিবারের উপরই দোষ চাপাচ্ছেন তাঁরা।
ওই হাসপাতালের চিকিৎসক সুশীল বর্মা বলেন, ‘‘করণীয় সব কিছু করার পর দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়। পরিবার ময়নাতদন্ত চায়নি। তাঁরা দেহ নিয়ে যেতে চেয়েছিলেন। পরিবারের লোকই হয়তো কয়েক মিনিটের জন্য দেহ ফেলে রেখেছিল। তখনই ওই ঘটনা ঘটে।’’ তবে, এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এক ওয়ার্ড বয় এবং এক সাফাইকর্মীকে সাসপেন্ড করেছে।
যোগী-রাজ্যে হাসপাতালে দেহ কুকুরের খুবলে খাওয়ার এই ভিডিয়ো সামনে আসতেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। সমাজবাদী পার্টির তরফে এই ভিডিয়ো ক্লিপিংটি তাদের নিজস্ব টুইটার হ্যান্ডেলে শেয়ার করা হয়। দ্রুত পদক্ষেপ করার দাবিও জানানো হয়।