-ফাইল চিত্র।
ভারতের সংসদীয় গণতন্ত্রে বাগ্মিতার জন্য যে ক’জন সাংসদের নাম মনে রাখবে দেশ, নিঃসন্দেহে অটলবিহারী বাজপেয়ী তাঁদের অন্যতম। রাজনৈতিক প্রজ্ঞার সঙ্গে জীবনদর্শনের মিশেল তাঁর বক্তৃতাকে ভিন্নতর উচ্চতায় সহজেই পৌঁছে দিত। তার স্বাক্ষর বার বার রেখেছেন এই প্রাক্তন রাষ্ট্রনেতা। রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিত্ব করেও দলাদলির ক্ষুদ্র রাজনীতির অনেক উপরে উঠে বার বার নিজেকে তুলে ধরেছেন এক জন প্রকৃত রাষ্ট্রনেতার ভূমিকায়। স্বচ্ছ ভাবমূর্তির পাশাপাশি তুখোড় বক্তৃতায় দেশবাসীর মন ছুঁয়ে গিয়েছেন। তাঁর বক্তৃতার নিজস্ব ভঙ্গিমায় যতি ছিল, কিন্তু ভাবনার গভীরতায়, আর শব্দচয়নের অনবদ্য দক্ষতায় যে গতি সঞ্চার হত, তা অতিক্রম করতে পারতেন খুব কম নেতাই। একক বৃহত্তম দল হয়েও সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে না পারায় ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার ১৩ দিনের মাথায় তাঁর সরকার পড়ে যায়। রাষ্ট্রপতির কাছে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পদত্যাগপত্র দিতে যাওয়ার আগে তাঁর সেই ঐতিহাসিক ভাষণ দেশ এখনও ভোলেনি।
দেখুন সেই ঐতিহাসিক ভাষণের ভিডিয়ো
আরও পড়ুন- যুগের অবসান, চলে গেলেন অটলবিহারী বাজপেয়ী
আরও পড়ুন- শ্রীঅটলবিহারী বাজপেয়ী (১৯২৪-২০১৮)