তিলসিভা গ্রামে পুলিশি ‘অভিযানের’ সেই ভিডিয়ো ইতিমধ্যেই সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ছবি: টুইটার।
উচ্ছেদ অভিযানে এসেছিল পুলিশ। বাধা দিতেই মহিলাদের চুলের মুঠি ধরে বেধড়ক মার! মাটিতে ফেলে দিয়ে চলল একের পর এক লাথিও। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে ছত্তীসগঢ়়ের সূরজপুর জেলায়। সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, শুক্রবার সূরজপুর জেলার তিলসিভা গ্রামে একটি উচ্ছেদ অভিযানে গিয়েছিল পুলিশ। অভিযোগ, সেখানে জনা কয়েক মহিলা পুলিশকে বাধা দিলে পুলিশ তাঁদের বেধড়ক মারধর শুরু করে। যদিও পুলিশের দাবি, ওই মহিলারাই প্রথমে চড়াও হন। আর সেই কারণেই পুলিশ পাল্টা ‘জবাব’ দিতে বাধ্য হয়।
তিলসিভা গ্রামে পুলিশি ‘অভিযানের’ সেই ভিডিয়ো ইতিমধ্যেই সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। যদিও ভিডিয়োর সত্যাসত্য যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন।
ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, পুলিশি অভিযানে বাধা দেওয়ায় এক জন পুলিশকর্মী এক মহিলার চুলের মুঠি ধরে মাটিতে ফেলে দেন। তাঁর গায়ে-পিঠে একের পর এক লাথি মারতেও দেখা যায় ওই পুলিশকর্মীকে। আরও বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মীকে অন্য এক মহিলার চুলের মুঠি ধরে পুলিশ ভ্যানের কাছে নিয়ে যেতে দেখা গিয়েছে সেই ভিডিয়োতে। শুধু তাই নয়, ওই মহিলাদের বিরুদ্ধে পুলিশকে মারধরের অভিযোগ এনে তাঁদের গ্রেফতার করা হয় বলেও স্থানীয় সূত্রে খবর।
প্রশাসনের অভিযোগ, গবাদি পশু রাখার জন্য কয়েক জন স্থানীয় ওই জমি দখল করে রেখেছিলেন। বছর কয়েক হল সেই জমিতে বসবাসও শুরু করেছেন তাঁরা। অভিযোগ পাওয়ার পরই পুলিশ ওই জায়গায় অভিযানে গিয়েছিল।
অন্য দিকে, স্থানীয় এক মহিলা বলেন, ‘‘আমরা কয়েক বছর ধরে এখানে থাকছি। এর আগে কেউ আমাদের বাধা দেয়নি। পুলিশ এসে আমাদের মারল।’’ পুলিশ এসে এক জন অন্তঃসত্ত্বা মহিলাকে মারধর করে বলেও অভিযোগ।
সুরাজপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মধুলিকা শর্মা বলেন, ‘‘জমি অধিগ্রহণ বিরোধী অভিযানের সময় কিছু স্থানীয় মানুষ পুলিশ আধিকারিকদের উপর হামলা চালান। সেখান থেকেই বিষয়টি এতদূর গড়িয়েছে। আমরা বিষয়টি তদন্ত করে দেখছি।’’