Neelum Sharma

অকালেই স্তব্ধ হয়ে গেল ‘তেজস্বিনী’ সঞ্চালিকা নীলম শর্মার কণ্ঠ

নেটিজেনরা লিখেছেন, নীলমের সঙ্গে চলে গেল তাঁদের ফেলে আসা শৈশবও। কেউ বলেছেন, নীলমের জন্যই কার্টুন শো ছেড়ে শুরু করেছিলেন টেলিভিশনে খবর দেখা ও শোনা। তাঁর ব্যক্তিত্ব ও রুচিশীল সাজপোশাক প্রশংসিত হয়েছে বিভিন্ন স্মৃতিচারণায়।

Advertisement
নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ১৮ অগস্ট ২০১৯ ১২:২৪
Share:
০১ ১২

পরনে সিল্কের শাড়ি। কপালে বিন্দি। সনাতনী পোশাকে বাড়তি মাত্রা যোগ করত এক ঢাল কালো রেশমি চুল। ঐতিহ্যবাহী পোশাক ছিল তাঁর ট্রেডমার্ক। সঙ্গে বিনীত সুমধুর ভঙ্গিতে ক্ষুরধার বিশ্লেষণ। বিগত দু’দশক ধরে দূরদর্শনে নীলম শর্মার সংবাদপাঠের ভক্ত অগণিত।

০২ ১২

দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের নামী প্রতিষ্ঠান লেডি শ্রী রাম কলেজ থেকে তিনি কলাবিভাগে স্নাতক। এরপর জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতা ও গণজ্ঞাপনে ডিপ্লোমা। ১৯৯৫ সালে দিল্লি দূরদর্শনে যোগ দেন নীলম।

Advertisement
০৩ ১২

সংবাদপাঠের পাশাপাশি ডিডি নিউজে তাঁর জনপ্রিয় শো ছিল ‘বড়ি চর্চা’ এবং ‘তেজস্বিনী’। এই দু’টি শো সঞ্চালনার জন্য তিনি সম্প্রতি ‘নারীশক্তি’ সম্মানে ভূষিত হন। মার্চ মাসে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের হাত থেকে পুরস্কার গ্রহণ করেন নীলম।

০৪ ১২

২০০৩ সালে শুরু হওয়া টক শো ‘বড়ি চর্চা’ ছিল দূরদর্শনের সাম্প্রতিক চর্চিত ও জনপ্রিয় শোগুলির মধ্যে অন্যতম। রাজনৈতিক, সামাজিক, খেলাধূলা, অর্থনৈতিক ও প্রযুক্তি-বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হত এই অনুষ্ঠানে। বক্তা হিসেবে অংশ নিতেন সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রের নামী ব্যক্তিত্ব। উপস্থিত দর্শকদেরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকত এই শো-এ।

০৫ ১২

২০১৫ সালে শুরু হয়েছিল শো ‘তেজস্বিনী’। সমাজের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে তুলে ধরা হত ছক ভাঙা সাহসিনীদের। নীলমের সঞ্চালনার গুণে ভিন্ন মাত্রা পেয়েছিল এই অনুষ্ঠান।

০৬ ১২

তাঁর সঞ্চালনায় জনপ্রিয় হয়েছিল সাপ্তাহিক শো ‘এহসাস’। মূলত সাংস্কৃতিক ও সামাজিক এই শো-এ নীলম নিজেকে মেলে ধরেছিলেন অত্যন্ত সংবেদনশীল রূপে।

০৭ ১২

দূরদর্শনের সঙ্গে নীলমের দীর্ঘ প্রায় আড়াই দশকের সম্পর্ক ছিন্ন হল শনিবার। বহু লড়াইয়ের পরে ক্যানসারের কাছে হার মানতে হল এই তেজস্বিনীকে। মাত্র ৫০ বছর বয়সে।

০৮ ১২

অসুস্থ নীলম ভর্তি ছিলেন নয়ডার একটি হাসপাতালে। অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছিল। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না। দূরদর্শনের নিউজ রুম এবং স্টুডিয়োয় আর ফিরলেন না সাংবাদিক নীলম শর্মা।

০৯ ১২

অকালপ্রয়াণে রেখে গেলেন স্বামী, পনেরো বছর বয়সী একমাত্র পুত্র এবং অসংখ্য শোকস্তব্ধ গুণমুগ্ধকে। তাঁর মৃত্যুতে দূরদর্শনের নিউজের তরফে টুইটারে শোকপ্রকাশ করা হয়। পাশাপাশি, তাঁর মৃত্যুতে সোশ্যাল মিডিয়া ভেসে গিয়েছে সাধারণ দর্শকের শোকবার্তায়।

১০ ১২

নেটিজেনরা লিখেছেন, নীলমের সঙ্গে চলে গেল তাঁদের ফেলে আসা শৈশবও। কেউ বলেছেন, নীলমের জন্যই কার্টুন শো ছেড়ে শুরু করেছিলেন টেলিভিশনে খবর দেখা ও শোনা। তাঁর ব্যক্তিত্ব ও রুচিশীল সাজপোশাক প্রশংসিত হয়েছে বিভিন্ন স্মৃতিচারণায়।

১১ ১২

নীলম যখন দূরদর্শনে যোগ দেন, তখন সবেমাত্র দানা বাঁধছে দিনভর সম্প্রচারিত হবে, এমন নিউজ চ্যানেলের ধারণা। তার আগে যাঁরা খবর পড়তেন, তাঁরা ছিলেন সংবাদপাঠক ও সংবাদপাঠিকা। এরপর এল সঞ্চালক এবং সঞ্চালিকার যুগ।

১২ ১২

‘নিউজ রিডার’ থেকে ‘নিউজ অ্যাঙ্কর’-এর যুগসন্ধিতে উত্তরণের মূল কান্ডারি ছিলেন নীলম শর্মা। অকালে স্তব্ধ হয়ে গেল তাঁর কণ্ঠ। প্রসার ভারতীর সিইও শশী শেখর নীলমের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন। সংস্থার চেয়ারম্যান এ সূর্য প্রকাশ টুইট করেছেন, ‘আমরা আমাদের ‘তেজস্বিনীকে’ হারালাম।’ ছবি : দিল্লি দূরদর্শন এবং সোশ্যাল মিডিয়া।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on:
আরও গ্যালারি
Advertisement