Motilal Vora

৯৩ বছর বয়সে প্রয়াত কংগ্রেস নেতা মোতিলাল ভোরা, শোকবার্তা রাহুল-মোদীর

গাঁধী পরিবারের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত ছিলেন মোতিলাল। তাঁর প্রয়াণে ইতিমধ্যেই শোকপ্রকাশ করেছেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গাঁধী।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২১ ডিসেম্বর ২০২০ ১৭:১৯
Share:

প্রয়াত মোতিলাল ভোরা। —ফাইল চিত্র।

প্রবীণ কংগ্রেস নেতা মোতিলাল ভোরা প্রয়াত। মূত্রনালিতে সংক্রমণ নিয়ে দু’দিন আগেই দিল্লির ওখলায় ফর্টিস এসকর্ট হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। সেখানে ফুসফুসেও সংক্রমণ ধরা পড়ে তাঁর, যার পর ভেন্টিলেশনে রাখা হয় তাঁকে। সেই অবস্থায় সোমবার দুপুরে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে ৯৩ বছর বয়স হয়েছিল তাঁর।

Advertisement

এর আগে, অক্টোবর মাসে নোভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন মোতিলাল। সেইসময় দিল্লির এমসে ভর্তি করা হয় তাঁকে। সুস্থ হয়ে সেখান থেকে বাড়ি ফিরে গেলেও, অত্যন্ত দুর্বল হয়ে পড়েন। সম্প্রতি পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়। তাতেই ফের হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। মঙ্গলবার ছত্তীসগঢ়ে শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে মোতিলালের।

গাঁধী পরিবারের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত ছিলেন মোতিলাল। তাঁর প্রয়াণে ইতিমধ্যেই শোকপ্রকাশ করেছেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গাঁধী। টুইটারে তিনি লেখেন, ‘সত্যিকারের কংগ্রেসি ছিলেন ভোরাজি। মানুষ হিসেবে অসাধারণ ছিলেন। ওঁকে খুব মিস করব। ওঁর পরিবার ও বন্ধুবান্ধবদের ভালবাসা ও সমবেদনা জানাই’।

Advertisement

আরও পড়ুন: নয়া করোনা ঘিরে উদ্বেগ, ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ব্রিটেনের সঙ্গে বিমান সংযোগ বন্ধ​

মোতিলালের প্রয়াণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দফতর থেকেও শোকপ্রকাশ করা হয়। পিএমও ইন্ডিয়ার টুইটার হ্যান্ডলে লেখা হয়, ‘শ্রী মোতিলাল ভোরাজি প্রবীণ কংগ্রেস নেতাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন, দীর্ঘ কয়েক দশকের রাজনৈতিক জীবনে যাঁর ব্যাপক প্রশাসনিক এবং সাংগঠনিক অভিজ্ঞতা ছিল। ওঁর প্রয়াণে আমরা শোকাহত। ওঁর পরিবার ও শুভাকাঙ্খীদের সমবেদনা জানাই। ওম শান্তি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী’।

আরও পড়ুন: বিজেপি দু’অঙ্ক ছাড়ালে টুইটার ছাড়ব, চ্যালেঞ্জ ছুড়লেন প্রশান্ত কিশোর​

মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মোতিলাল গত বছর এপ্রিল পর্যন্ত রাজ্যসভার সাংসদও ছিলেন। ১৯২৭ সালে রাজস্থানের নগৌর জেলায় জন্মগ্রহণ করেন তিনি। সাংবাদিক হিসেবে কেরিয়ার শুরু করেন। পরবর্তীতে রাজনীতিতে প্রবেশ। শুরুতে সমাজবাদী পার্টিতে থাকলেও পরে কংগ্রেসে যোগ দেন। ১৯৭২ সালে মধ্যপ্রদেশে কংগ্রেসের বিধায়ক নির্বাচিত হন তিনি। ১৯৮৫ সালে মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচিত হন। তবে তিন বছরের মাথায় মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে তৎকালীন কেন্দ্রীয় সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ এবং অসামরিক বিমান মন্ত্রকের দায়িত্ব নেন। পঞ্চকুলা জমি কেলেঙ্কারি মামলায় নাম জড়িয়েছিল মোতিলালের।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement