Raghuvansh Prasad Singh

আরজেডি ছেড়ে উস্কে দিয়েছিলেন জল্পনা, আচমকা এমসে মৃত্যু রঘুবংশের

১৯৯৭ সালে জনতা দলের জমানা থেকেই লালুপ্রসাদের সঙ্গী রঘুবংশ। প্রথম মনমোহন সিংহ সরকারে তিনি গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী ছিলেন।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২০ ১৩:০৪
Share:

এমসে প্রয়াত রঘুবংশ প্রসাদ সিংহ।

রাষ্ট্রীয় জনতা দল (আরজেডি)-র হাত ছেড়েছিলেন দিন তিনেক আগে। বিহারে ভোটের মুখে লালুপ্রসাদ যাদবের দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক সঙ্গী রঘুবংশ প্রসাদ সিংহের দলত্যাগ উস্কে দিয়েছিল নানা রাজনৈতিক সমীকরণের জল্পনা। কিন্তু রবিবার সকালে এমসে মৃত্যু হল সেই রঘুবংশের।মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৪।

Advertisement

কিছু দিন আগে করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন রঘুবংশ। তা থেকে সেরে উঠলেও তাঁর কিছু শারীরিক সমস্যা রয়ে গিয়েছিল। এমস হাসপাতালে ভর্তিও ছিলেন তিনি। হাসপাতাল থেকেই লালুপ্রসাদকে চিঠি লিখে দল ছাড়ার কথা জানান রঘুবংশ। লেখেন, ‘‘জননায়ক কর্পূরি ঠাকুরের মৃত্যুর পর থেকে দীর্ঘ ৩২ বছর ধরে আপনার সঙ্গে আছি। কিন্তু আর নয়।’’ আরও জানান, ‘‘বিহারের সাধারণ মানুষ ছাড়াও দলের নেতা-কর্মীদের কাছ থেকে অনেক ভালবাসা পেয়েছি। আমায় ক্ষমা করবেন।’’ জেল থেকে রঘুবংশের ওই চিঠির উত্তর দেন লালুপ্রসাদও। চিঠিতে দীর্ঘদিনের সঙ্গীকে ‘পরিবারের সদস্য’ বলে উল্লেখ করেন লালু। এমনকি কথা বলে বিষয়টি মিটমাটের প্রস্তাবও দেন তিনি। আর কিছু দিনের মধ্যেই ভোট বিহারে। তার আগে রঘুবংশের দলত্যাগ আরজেডি শিবিরে বড়সড় ধাক্কা বলেই মনে করা হচ্ছিল।

১৯৯৭ সালে জনতা দল ভেঙে আরজেডি গড়ার সময় থেকেই লালুপ্রসাদের সঙ্গী রঘুবংশ। প্রথম মনমোহন সিংহ সরকারে তিনি গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী ছিলেন। তার আগেও দেবগৌড়ার জমানায় তিনি পশুপালন দফতরের রাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন। বলা হয়, ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পটি তাঁরই মস্তিস্কপ্রসূত। আরজেডি-তেও তিনি ছিলেন জাতীয় সহ-সভাপতি। চার দশকেরও বেশি সময় ধরে বিহার ও জাতীয় রাজনীতির বহু ঘাত-প্রতিঘাতের সাক্ষী ছিলেন রঘুবংশ। তাঁর মৃত্যুতে একটি যুগের সমাপ্তি ঘটল বলেই রাজনৈতিক মহলের ধারণা।

Advertisement

আরও পড়ুন: নিট পরীক্ষার্থীদের জন্য ছুটল মেট্রো, সোমবার সুযোগ সকলকেই

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement