দেবেন্দ্র ফডণবীস ও শিবসেনা সাংসদ সঞ্জয় রাউত। ছবি সংগৃহীত।
করাচি দ্রুত ভারতের অংশ হবে— মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা দেবেন্দ্র ফডণবীসের এই মন্তব্যকে কটাক্ষ করলেন শিবসেনা সাংসদ সঞ্জয় রাউত। তিনি আজ বলেন, ‘‘পাক অধিকৃত কাশ্মীরকে আগে ফেরানো হোক, তার পরে করাচি নিয়ে মুখ খুলুক বিজেপি।’’
বিতর্কের সূত্রপাত হয় গত বৃহস্পতিবার। মুম্বইয়ের বান্দ্রায় অবস্থিত ‘করাচি সুইটস’-এর নাম পরিবর্তন করে কোনও মরাঠা নাম দেওয়ার জন্য দোকানের মালিককে হুমকি দেন শিবসেনা সমর্থকেরা। এই ঘটনা নিয়ে বিতর্ক শুরু হওয়ায় আসরে নামেন দেবেন্দ্র। তিনি শনিবার বলেন, “শীঘ্রই পাকিস্তানের করাচি ভারতের অংশ হবে। ভারত এক দিন তার অতীতের অখণ্ড রূপ ফিরে পাবে।’’ তার পর আজ অধিকৃত কাশ্মীরের প্রসঙ্গ তোলেন সঞ্জয়। এখনও পর্যন্ত পাল্টা আর কিছু বলেনি বিজেপি।
তবে দলের কিছু সমর্থক যে ‘করাচি সুইটস’-এর নাম পরিবর্তনের দাবি তুলেছেন তা নিয়ে বেশ অস্বস্তিতে শিবসেনা শিবির। সঞ্জয় বলেছেন, “ করাচি সুইটসের নাম পরিবর্তন দলীয় অবস্থান নয়। গত ৬০ বছর ধরে মুম্বইতে করাচি বেকারি ও করাচি সুইটস রয়েছে। যার সঙ্গে পাকিস্তানের কোনও সম্পর্ক নেই। এখন তাদের দোকানের নাম বদল করার কোনও মানে হয় না।’’
সম্প্রতি দেশে ‘লাভ জেহাদ’ প্রশ্নে বিজেপি যে ভাবে সরব হয়েছে তা নিয়েও আজ মুখ খুলেছেন রাউত। সম্প্রতি মধ্যপ্রদেশ সরকার ‘লাভ জেহাদ’ রুখতে বিশেষ আইন এনেছে। মহারাষ্ট্রের শিবসেনা-কংগ্রেস ও এনসিপি সরকারের এ বিষয়ে আইন আনার কথা ভাবনাচিন্তা করা উচিত বলেও মন্তব্য করেছিলেন দেবেন্দ্র। বিজেপির এ ভাবে সরব হওয়ার পিছনে নির্বাচনী রাজনীতি রয়েছে বলে মন্তব্য সঞ্জয়ের। তিনি বলেন, “পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচন আসছে। তা মাথায় রেখেই লাভ জেহাদ প্রসঙ্গে এ ভাবে সরব হয়েছে বিজেপি।’’ শিবসেনার মতে, বাংলায় ভোটের মেরুকরণ ঘটাতেই এ ভাবে সরব বিজেপি। আর মহারাষ্ট্রে এ নিয়ে আইন করার যে দাবি উঠেছে,এ বিষয়ে আইনের দাবি প্রসঙ্গে রাউত বলেন, “বিজেপি তো বিহারে সরকারে রয়েছে। নীতীশ সরকার ওই রাজ্যে আগে লাভ জেহাদ নিয়ে আইন আনুক, তারপর মহারাষ্ট্র ভেবে দেখবে।’’ প্রসঙ্গত, এই আইন চালুর প্রস্তাব নিয়ে বিহারে দুই শরিকে ইতিমধ্যেই দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছে।