ধরা পড়া রাসেলস ভাইপার। ছবি: টুইটার থেকে নেওয়া।
ঘরে ঢুকে বসে থাকাই নয়, রীতিমতো বংশবিস্তার শুরু করেছিল একটি বিষধর সাপ। শুক্রবার তামিলনাড়ুর কোয়মবত্তুর জেলার ঘটনা। ঘর থেকে বিষধর সাপ ও তার ৩৫টি বাচ্চা উদ্ধার করা হয়। পরে সেগুলিকে তাদের আসল বাসস্থানে রেখে আসা হয়েছে।
কোয়মবত্তুরের কোভিমেদু এলাকার বাসিন্দা মনোহরণ। শুক্রবার তিনি দেখেন, তাঁদের ঘরের বাথরুমে বসে রয়েছে একটি সাপ। সঙ্গে সঙ্গে তিনি চিৎকার শুরু করেন। খবর দেওয়া হয় মুরলি নামে স্থানীয় এক সাপ ধরায় দক্ষ ব্যক্তিকে। মুরলি সাপ ধরতে বাথরুমে ঢুকে যান।
সাপটিকে ধরে একটি চটের থলেতে ঢুকিয়ে দেন। যখন তিনি ভাবছিলেন কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে, এবার সাপটিকে জঙ্গলে ছেড়ে দিলেই হল। ঠিক তখনই দেখেন, এ সাপ একা নয়, এর সাঙ্গপাঙ্গও রয়েছে। বড় সাপটির চটের থলে একটি গাছের গোড়ায় রেখে ফের বাথরুমে ফিরে আসেন মুরলি।
আরও পড়ুন: অবাক জলপান: মানুষের হাত থেকে সরাসরি জল খাচ্ছে সাপ!
এবার বাথরুম থেকে একে একে বের করে আনেন ৩৫টি সাপের বাচ্চা। সেগুলিকেও বড় সাপটির সঙ্গে সত্যমঙ্গলম জঙ্গলে ছাড়ার ব্যবস্থা করা হয়, যেটি তামিলনাড়ুর এরোডে জেলায় অবস্থিত। এই ‘রাসেলস ভাইপার’ বেশ বিষধর সাপ বলে জানিয়েছেন মুরলি।
আরও পড়ুন: এবার বাজারে এল ‘চ্যবনপ্রাশ আইসক্রিম’, পরখ করে দেখবেন নাকি!
রাসেলস ভাইপারের বিশেষত্ব হল, অন্য সাপ যেমন ডিম পেড়ে তা দিয়ে বাচ্চা ফোটায়, এরা তেমন নয়। রাসেলস ভাইপারের মতো সাপেরা নিজেদের শরীরের মধ্যেই ডিমগুলিকে রাখে কিছু দিন। তারপর ডিম ফুটে বাচ্চা হলে সেগুলিকে শরীর থেকে বের করে। বাচ্চা সাপগুলিও জন্মের সময়ই বেশ বিষাক্ত হয়।
উদ্ধার হয় সাপ: