পুরনো বন্ধুর কথা মনে করে আবেগ বশে রাখতে পারলেন না রাজনীতির আঙিনায় পোড়খাওয়া নেতা বেঙ্কাইয়া নায়ডু। ছবি: সংগৃহীত।
চার দশকের বন্ধুত্ব। প্রকৃতির অমোঘ নিয়মে এক দিন আগেই তাতে ছেদ পড়েছে। প্রয়াত হয়েছেন প্রবীণ কংগ্রেস নেতা এস জয়পাল রেড্ডি। সে কথা স্মরণ করতে গিয়ে আবেগবিহ্বল হয়ে পড়লেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান এম বেঙ্কাইয়া নায়ডু। সোমবার চেয়ারম্যানের আসনে বসেই রুমাল দিয়ে চোখের জল মুছতে দেখা যায় তাঁকে। চোখ মুছতে মুছতেই তিনি বলেন, ‘‘আমি দুঃখিত, আবেগ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারলাম না। ৪০ বছরের ব্যক্তিগত সম্পর্ক।’’
সোমবার রাজ্যসভার অধিবেশনে সদ্যপ্রয়াত জয়পাল রেড্ডির প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ জানানো হয়। তা পড়ে শোনান বেঙ্কাইয়া নায়ডু। রবিবার রাতে মারা গিয়েছেন ৭৭ বছরের প্রবীণ ওই কংগ্রেস নেতা। নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি।
এ দিন অধিবেশনে পুরনো সেই বন্ধুর কথা মনে করেই আবেগ বশে রাখতে পারলেন না রাজনীতির আঙিনায় পোড়খাওয়া নেতা বেঙ্কাইয়া নায়ডু। বার বার সেই পুরনো দিনের কথা টেনে আনলেন। জানালেন, অন্ধ্রপ্রদেশ বিধানসভায় সেই সাতের দশক থেকেই তাঁদের পরিচয়। বিধানসভা ভবনে একই বেঞ্চে বসতেন তাঁরা। সে কথা মনে করে তিনি বলেন, ‘‘আমরা দু’জনে একসঙ্গে একই বেঞ্চে বসতাম। আমাদের নিজেদের মতো করেই তর্কবিতর্ক চলত। সে সব দিনে বিধানসভার অধিবেশন শুরু হত সকাল ৮টায়। সকাল ৭টায় আমরা দেখা করতাম। প্রাতরাশের টেবিলে বসে নানা বিষয়ে আলোচনা চলত। ভাষার উপর দখল ছাড়াও বিভিন্ন বিষয়ে জ্ঞান ও গভীর বোধ ছিল তাঁর। তিনি সত্যিই অতুলনীয় ছিলেন। ’’
সাতের দশকের সেই রাজনৈতিক সহকর্মীকে বন্ধু ছাড়াও পথপ্রদর্শক হিসাবেও দেখতেন বেঙ্কাইয়া। তাঁর কথায়, ‘‘জয়পাল রেড্ডির থেকে ছ’বছরের ছোট আমি। তিনি শুধু বন্ধুই ছিলেন না, জ্যেষ্ঠ হিসাবে আমার পথপ্রদর্শকও ছিলেন।’’
আরও পড়ুন: দুর্ঘটনায় আহত উন্নাওয়ের ধর্ষিতা ‘সঙ্কটজনক’, উত্তাল দেশ, খুনের মামলা বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে
আরও পড়ুন: বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জের! দেড় মাসের ছেলেকে খুন করে খালের জলে ভাসিয়ে দিল মা!
এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও।সাবস্ক্রাইব করুনআমাদেরYouTube Channel - এ।