মোরবীতে মাচ্ছু নদীর উপরে ভেঙে পড়া সেতু, চলছে উদ্ধারকাজ। ছবি: পিটিআই।
মোরবীর তদন্ত এ বার এসে পৌঁছল পুর-প্রশাসনের চৌকাঠে। তদন্তকারী দল মোরবী নগর পালিকার শীর্ষ আধিকারিক সন্দীপসিন ঝালাকে চার ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করে। রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থা ওরেভার দিকেই দায় ঠেলেছেন তিনি। শুরু থেকেই প্রশাসনের তরফে ওরেভাকেই নিশানা করা হয়েছে। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, অনুমতি ছাড়া সেতু খুলে দেওয়া হলেও প্রশাসনিক পদক্ষেপ করা হয়নি কেন? এরই পাশাপাশি সেতুর রক্ষণাবেক্ষণ সংক্রান্ত প্রতিটি স্তরেই যে অনিয়ম হয়েছে, তা-ও সামনে আসছে। এমনকি সেতুর বৈজ্ঞানিক পরীক্ষাটুকুও হয়নি বলে জানা যাচ্ছে তদন্তে!
কংগ্রেসের অভিযোগ, তড়িঘড়ি সেতু খোলার পিছনে আছেন পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরের প্রতিমন্ত্রী তথা মোরবীর বিধায়ক ব্রিজেশ মেরজা। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডবিয়ার সঙ্গে ওরেভা কর্ণধারের ঘনিষ্ঠতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে তারা।
আজ তদন্তকারী দলের মুখোমুখি হয়ে ঝালা জানান, রক্ষণাবেক্ষণের পরে মচ্ছু নদীর উপরে ওই ঝুলন্ত সেতুটি পুনরায় খুলে দেওয়ার জেরে যে ঝুঁকি রয়েছে, মোরবী নগর পালিকা সেই সম্পর্কে সচেতন ছিল। ওরেভা সেতু সারাইয়ের জন্য ২৯ লক্ষ টাকার বিনিময়ে দেব প্রকাশ ফ্যাব্রিকেশন লিমিডেট নামে একটি সংস্থাকে সেতু সারাইয়ের দায়িত্ব দেয়। কিন্তু ওই সংস্থাটি সেতুর গঠনগত স্থায়িত্ব পরিমাপের জন্য কোনও বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা করেনি। আজ ওই সংস্থার অফিসে তল্লাশি অভিযান চালায় সিট।
দেবপ্রকাশ ফ্যাব্রিকেশনের কর্ণধার প্রকাশভাই লালজিভাই পারমার ও তাঁর পুত্র দেবাঙ্গভাই প্রকাশভাই পারমারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আদালত তাঁদের ৫ নভেম্বর পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে। ওরেভার ম্যানেজার দীপক পারেখ ও দীনেশ মহাসুখরাই দাভেও রয়েছে পুলিশি হেফাজতে। পুলিশ জানিয়েছে, ওরেভা ও দেবপ্রকাশ সংস্থার মধ্যে যে চুক্তি হয়েছিল সেখানে সেতু সারাইয়ের জন্য কোনও নির্দেশিকা লেখা ছিল না।