বন্দেভারত এক্সপ্রেস। —ফাইল চিত্র।
কাশ্মীরকে সমতলের সঙ্গে রেলপথে জোড়ার প্রক্রিয়ায় কাটরা থেকে শ্রীনগর পর্যন্ত অংশে সম্প্রতি পূর্ণ গতিতে ট্রেন চালিয়ে মহড়া দিয়েছে রেল। ওই পথে সম্প্রতি নতুন তিনটি নতুন ট্রেন চালু করার কথাও জানিয়েছে রেল। জম্মু-কাশ্মীরের আবহাওয়ার সঙ্গে মানানসই করে ওই সব ট্রেনে একাধিক বিশেষ ব্যবস্থাপনাও রাখা হচ্ছে। তবে দিল্লি থেকে শ্রীনগর পর্যন্ত পথে বন্দেভারত এক্সপ্রেস চালু হওয়ার বিষয়ে রেল এখনও কিছু জানায়নি।
স্লিপার বন্দে ভারত এক্সপ্রেস নিয়ে মহড়া চললেও ওই ট্রেন দিল্লি থেকে চলবে কি না তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে কাটরা থেকে শ্রীনগর ট্রেন চালানোর পরিকল্পনা রয়েছে। রেলের সূচি অনুসারে, রোজ সকাল ৮টা ১০ মিনিটে কাটরা থেকে ওই ট্রেন ছেড়ে সকাল ১১টা ২০ মিনিটে শ্রীনগর পৌঁছবে। ফিরতি পথে দুপুর ১২টা ৪৫ মিনিটে ট্রেনটি শ্রীনগর থেকে ছেড়ে বিকেল ৩টে ৫৫ মিনিটে কাটরা পৌঁছবে। বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের সময় লাগবে ৩ ঘণ্টা ১০ মিনিট। ট্রেনটি হবে চেয়ার কার শ্রেণির।
কাটরা থেকে আরও দু’টি এক্সপ্রেস ট্রেন চালানো হবে। ওই ট্রেনগুলির ক্ষেত্রে সময় লাগবে ৩ ঘণ্টা ২০ মিনিট। ওই সব ট্রেনও একই দিনে গিয়ে আবার শ্রীনগর থেকে ফিরে আসবে। এর মধ্যে একটি ট্রেন সকাল ৯ টা ৫০ মিনিটে কাটরা থেকে ছেড়ে দুপুর ১ টা ১০ মিনিটে শ্রীনগর পৌঁছবে। অন্য আর একটি ট্রেন বিকেল ৩ টে ৫০ মিনিটে কাটরা থেকে ছেড়ে সন্ধ্যা ৬ টা ২০ মিনিটে শ্রীনগর পৌঁছবে। এ ছাড়াও ওই পথে এখন যে সব প্যাসেঞ্জার ( মেমু) ট্রেন চলে তা কাটরা পর্যন্ত সম্প্রসারিত হতে পারে।
রেল এ পর্যন্ত একটি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ছাড়াও আরও পাঁচটি ট্রেনকে কাশ্মীরের আবহাওয়ায় চালানোর উপযোগী করে তৈরি করেছে। এর মধ্যে একটি সুদৃশ্য কাচের জানালা এবং ছাদ যুক্ত ভিস্তাডোম এক্সপ্রেস ট্রেনও রয়েছে। ওই সব ট্রেনে জলের পাইপ, ট্যাঙ্ক, বায়ো টয়লেটে যাতে জল না জমে তা নিশ্চিত করতে সিলিকন প্যাড ব্যবহার করা হচ্ছে। জলের পাইপ এবং ট্যাঙ্কে বিশেষ সেন্সর ছাড়াও হিটিং কয়েল বা তাপ উৎপন্ন করতে পারে এমন তারের কুণ্ডলী থাকবে। সেন্সর দেখবে, যাতে ওই সব তার বেশি গরম না হয়ে যায়। ট্ট্রেনের চালকের কামরার সামনের কাচে যাতে বরফ বা ভিতরের দিকে জলীয় বাষ্প না জমে, নিশ্চিত করতে কাচ গরম করার বিশেষ প্রযুক্তি থাকছে। চালক যাতে নিরবচ্ছিন্ন ভাবে রাস্তা দেখতে পান তা নিশ্চিত করতেই ওই ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ ছাড়াও অতিরিক্ত ঠান্ডায় ট্রেনের গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্র যাতে ঠিকমতো কাজ করে তা নিশ্চিত করতে ওই সব যন্ত্রের তাপমাত্রা স্বাভাবিক রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। যার মধ্যে ব্রেকিং ব্যবস্থা অন্যতম।
রেলের দাবি, বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে কাশ্মীর সফরে আলাদা আমেজ পাবেন যাত্রীরা। ট্রেনের সময় ঘোষণার পরে ওই পথে পরিষেবা চালুর অপেক্ষায় যাত্রীদের আগ্রহ বেড়েছে। রেল সূত্রে খবর, প্রস্তুতি সম্পূর্ণ হওয়ার পরে, প্রধানমন্ত্রীর দফতরের সম্মতি পেলেই জানা যাবে রেলপথ চালু হওয়ার দিনক্ষণ।