বন্দে ভারতের লাইনে পাথর। ছবি: টুইটার।
অল্পের জন্য দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেল রাজস্থানের উদয়পুর থেকে জয়পুরগামী ‘বন্দে ভারত’। চালকের বুদ্ধিমত্তায় বাঁচল শতাধিক প্রাণ। সোমবার সকালে জয়পুর যাওয়ার পথে রেললাইনে পাথর, লোহার রড দেখে সতর্ক হয়ে যান চালক। আপৎকালীন ব্রেক কষেন তিনি। তাতেই রক্ষা পায় ট্রেনটি। সময় মতো চালক এই পদক্ষেপ না করলে লাইনচ্যুত হতে পারত ট্রেনটি।
ট্রেন তড়িঘড়ি থামানোর পর রেলের কন্ট্রোলে খবর দেন চালক। রেলকর্মীরা এসে লাইনের উপর থেকে পাথর সরিয়ে দেন। সেই ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে। লাইনের ফিশপ্লেটে একটি লোহার রড গেঁথে রাখাও হয়েছিল। সেটিও সরিয়ে দেন রেল কর্মীরা।
চিতরগড়ের কাছে গঙ্গরার এবং সোনিয়ানা স্টেশনের মাঝে লাইনে রাখা ছিল পাথর, লোহার রড। সকাল ৯টা ৫৫ মিনিট নাগাদ সেগুলি চোখে পড়ে চালকের। সঙ্গে সঙ্গে ট্রেন থামিয়ে দেন। এর পরেই রেলকর্মীরা পরীক্ষা করে দেখেন রেললাইন। তার পরেই ফের চালু করা হয় ট্রেন। প্রসঙ্গত, সোমবারই চিতরগড়ে জনসভা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সে দিনই এই কাণ্ড ঘটেছে। ২৪ সেপ্টেম্বর এই উদয়পুর-জয়পুর বন্দে ভারত ট্রেনের উদ্বোধন করেছেন মোদী। ৪৩৫ কিলোমিটার পথ ৬ ঘণ্টা ১৫ মিনিটে পার হয়।
উত্তর-পশ্চিম রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক শশী কিরণ এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘লাইনে দু’টি এক ফুট লম্বা লোহার রড ছিল। চালকের তৎপরতায় সেগুলি সরানো হয়েছে। তার পর লাইনের বিস্তৃত অংশ জুড়ে খোয়া সরানো হয়েছে। চালক কন্ট্রোলেও খবর দেন। তার পর ঘটনাস্থলে পাঠানো হয় রেলরক্ষী বাহিনী (আরপিএফ) এবং রেলপুলিশ (জিআরপি)।’’ তিনি জানিয়েছেন, এই ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে। দোষীদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত পদক্ষেপ করা হবে।
এর আগে বন্দে ভারত লক্ষ্য করে পাথর ছোড়ার ঘটনা হয়েছে বেশ কয়েক বার। মে মাসে কেরলে তিরুনাভায়া এবং তিরুরের মাঝে ট্রেন লক্ষ্য করে পাথর ছোড়া হয়। তিরুঅনন্তপুরম থেকে কাসারগড় যাচ্ছিল ট্রেনটি। ৬ এপ্রিল বিশাখাপত্তনমেও একই কাণ্ড ঘটে।