Amit Malvya

‘প্রতিষেধক জ্যাম নয় যে, ইচ্ছে হলেই বানিয়ে ফেলা যাবে’, টুইট অমিতের

অমিত লেখেন, ‘বিরোধীরা এর আগে প্রতিষেধকের কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। আর এখন সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের পর তাঁদেরই আরও টিকা চাই’।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৩ মে ২০২১ ১০:৩৭
Share:

প্রতীকী ছবি।

যে রাজ্যে টিকার প্রয়োজন সবচেয়ে বেশি তারাই আগে পাবে টিকা, বাকিদের অপেক্ষা করতে হবে। দেশে টিকার ঘাটতি সামলাতে এ ভাবেই অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে টিকা বণ্টনের পরামর্শ দিলেন বিজেপি নেতা অমিত মালব্য। সেই সঙ্গে বিরোধীদের এক হাত নিলেন। বললেন, টিকা জ্যাম নয় যে, ইচ্ছে করলেই কেউ বানিয়ে ফেলতে পারবেন।

Advertisement

অমিতের এই মন্তব্য নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। করোনা পরিস্থিতিতে যখন দেশে টিকা নিয়ে হাহাকার চলছে, তখন টিকাকে জ্যামের সঙ্গে তূলনা করেই সমালোচনার মুখে পড়েছেন বিজেপি-র আইটি সেলের সর্বভারতীয় প্রধান অমিত।

বুধবার রাতে এ নিয়ে একটি টুইট করেন অমিত। তাতে কেন্দ্রের কাছে অ-বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলির টিকা চাওয়াকে সরাসরি কটাক্ষই করেন অমিত। লেখেন, ‘করোনা পরিস্থিতিতে যে সব দেশ একেবারে প্রথম দিকে নিজেদের টিকা তৈরি করতে পেরেছিল, তাদের মধ্যে ভারত ছিল অন্যতম। কিন্তু তখন বিরোধীরা নানা কথা বলেছিলেন, প্রতিষেধকের কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। আর এখন সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের পর তাঁদেরই আরও টিকা চাই’।

Advertisement

বিরোধীদের দাবি এবং দেশে টিকা উৎপাদনের বর্তমান পরিস্থিতি প্রসঙ্গে অমিতের মত, দেশের টিকা তৈরির যা ক্ষমতা, তা মেনে নিয়েই টিকা সরবরাহের ব্যবস্থা করতে হবে। সেক্ষেত্রে যে রাজ্যে টিকার প্রয়োজন সবচেয়ে বেশি, তাদেরই আগে টিকা সরবরাহ করতে হবে এবং বাকিদের অপেক্ষা করতে হবে।

টিকার উৎপাদন বাড়াতে দেশের অন্য সংস্থাগুলির হাতে টিকার ফর্মুলা তুলে দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল। বুধবার পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও প্রধানমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে জানান, টিকার উৎপাদন বাড়াতে দেশি-বিদেশি সংস্থাগুলিকে এগিয়ে আসতে বলুক কেন্দ্র।

বুধবার রাতে টুইটে সেই প্রসঙ্গেই অমিত লেখেন, ‘টিকা জ্যাম নয় যে, কেউ ইচ্ছে করলেই বানিয়ে ফেলতে পারবেন’। দেশের টিকা উৎপাদনের ক্ষমতা যে সীমিত, তা মেনে নিয়েই অমিত লেখেন, ‘আপাতত দেশের টিকা উৎপাদন ক্ষমতা এটুকুই। তা দিয়েই অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে সরবরাহ করে কাজ চালাতে হবে’।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement