তিন দিনের মধ্যে দিল্লিতে বন্ধ হয়ে যেতে পারে ১৮-৪৪ বছর বয়সিদের টিকাকরণ। দিল্লি সরকারের তরফে উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া একটি সাংবাদিক বৈঠকে বিষয়টি জানিয়েছেন। তিনি বলেন চলতি মাসে ১৮-৪৪ বছর বয়সিদের জন্য কেন্দ্র দিল্লিকে কোনও টিকা সরবরাহ করবে না জানিয়ে দিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে টিকাকরণ চালু রাখতে কেন্দ্রকে তিনটি প্রস্তাব দিয়েছে দিল্লি সরকার। যদিও কেন্দ্র এখনও তার জবাব দেয়নি।
সোমবার দিল্লিতে সাংবাদিক বৈঠকে কেন্দ্রের ওই চিঠির বয়ান পড়ে শোনান দিল্লির উপ মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, রবিবার রাতেই ওই চিঠি এসেছে দিল্লি সরকারের কাছে। তাতে কেন্দ্র স্পষ্ট জানিয়েছে যে, মে মাসে দিল্লিকে ৩ লক্ষ ৮৩ হাজার টিকা সরবরাহ করবে কেন্দ্র। তবে এর পুরোটাই ৪৫ উর্ধ্বদের জন্য। চলতি মাসে ১৮-৪৪ বছর বয়সিদের জন্য কোনও টিকা দেওয়া হবে না দিল্লিকে। মণীশ জানিয়েছেন, দিল্লিকে ১৮ উর্ধ্বদের টিকাকরণের জন্য সরকারের হাতে যে টিকা রয়েছে তা দিয়ে আর বড়জোর তিন দিন চলতে পারে। কেন্দ্রের জোগান না পেলে বাধ্য হয়েই ১৮-৪৪ বছর বয়সিদের টিকাকরণ বন্ধ করে দিতে হবে দিল্লি সরকারকে।
এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রের কাছে তিনটি প্রস্তাব রেখেছে দিল্লি। প্রথমত, মে মাসে ৪৫ উর্ধ্বদের জন্য যে টিকা পাঠানোর কথা দিল্লি বলেছ, সমপরিমাণ টিকা ১৮-৪৪ বছর বয়সিদের জন্যও পাঠানো হোক। যাতে টিকাকরণ প্রক্রিয়া বন্ধ না করে দিতে হয়। দ্বিতীয়ত, কোন রাজ্যকে কতটা টিকা ৪৫ উর্ধ্বদের জন্য দেওয়া হচ্ছে, কতটা ১৮ উর্ধ্বদের জন্য দেওয়া হচ্ছে তার একটা স্বচ্ছ হিসাব সামনে আনুক কেন্দ্র। বিশেষ করে বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে কত টিকা দেওয়া হচ্ছে তারও হিসেব সামনে আনার কথা বলেছেন মণীশ। তৃতীয়ত, কেন্দ্রকে দিল্লি সরকার অনুরোধ করেছে, মে মাসের হিসেবের মতোই জুন এবং জুলাই মাসেও কত টিকা সরবরাহ করা হবে, তা জানাক কেন্দ্র। যাতে সেই পরিসংখ্যানের উপর ভিত্তি করে দিল্লি সরকার আগামী দু’মাসে দিল্লিবাসীর টিকাকরণের পরিকল্পনাও সাজিয়ে নিতে পারে।