নরেন্দ্র মোদী ফাইল চিত্র
একে ডেল্টায় রক্ষা নেই, ওমিক্রন দোসর। ডেল্টা রূপের পর এবার বিশ্বের আনাচে কানাচে উঁকি মারছে করোনার নতুন ওমিক্রন রূপ। ওমিক্রন উদ্বেগ থেকে বাদ যায়নি ভারতও। এ দেশেও থাবা বসিয়েছে ওমিক্রন। এই মর্মেই ওমিক্রন মোকাবিলা করতে দেশের স্বাস্থ্যসেবা, প্রথমসারির কর্মী এবং কো-মর্বিডিটি যুক্ত ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তিদের বুস্টার টিকা প্রথমে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল সরকার। একইসঙ্গে ১৫-১৮ বছর বয়সি কিশোর-কিশোরীদের মধ্যেও টিকাকরণ সম্প্রসারিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
অর্থাত্ এই সিদ্ধান্তের ফলে দেশে নতুন করে ২০.৪ কোটি মানুষকে কোভিড -১৯ টিকা দেওয়া হবে। এর মধ্যে ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সিদের জন্য বরাদ্দ হয়েছে ৭.৪ কোটি টিকা। স্বাস্থ্যসেবা ও প্রথমসারির কর্মীদের জন্য বরাদ্দ তিন কোটি। কো-মর্বিডিটি যুক্ত ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তিদের জন্য বরাদ্দ ১০ কোটি টিকা।
প্রসঙ্গত, ২৫ ডিসেম্বর জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ঘোষণা করেন, ৩ জানুয়ারী থেকে ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সি কিশোর-কিশোরীদের কোভিড টিকা হবে ৷ ২০১১ সালের আদমশুমারির রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে, ৭.৪ কোটি টিকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ৷ ভারতের ড্রাগস কন্ট্রোলার জেনারেল কিছু নির্দিষ্ট শর্তের অধীনে ১২ বছরের বেশি বয়সিদের জন্য ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিনকে জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে।
এই বছরের ১৬ জানুয়ারি থেকে ভারতে স্বাস্থ্যকর্মীদের কোভিড টিকাদান অভিযান শুরু হয়। সরকারের অনুমান অনুযায়ী, ভারতে স্বাস্থ্যকর্মীদের সংখ্যা প্রায় দু’কোটি। ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী, ভারতে মোট ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তিদের সংখ্যা মোট ১৩.৭৯ কোটি। একইসঙ্গে, ২০২০ সালে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, ভারতের ৭৫ শতাংশ বয়স্ক ব্যক্তি দীর্ঘস্থায়ী স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছেন।