উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিংহ ধামী। — ফাইল চিত্র।
বিল পাশ হয়েছিল গত ফেব্রুয়ারিতেই। এ বার ‘পরিসর’ বাড়িয়ে দেশে প্রথম অভিন্ন দেওয়ানি বিধি (ইউসিসি) কার্যকরের প্রক্রিয়া শুরু হল বিজেপি শাসিত উত্তরাখণ্ডে। শুক্রবার এ সংক্রান্ত রিপোর্ট প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিংহ ধামীর সরকার।
বিধানসভায় পাশ হওয়া ইউসিসি বিলে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ এবং দত্তক নেওয়ার অধিকারের বিষয়টি না থাকলেও রিপোর্টে তার উল্লেখ রয়েছে বলে এবিপি নিউজ়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে দাবি। শুক্রবার প্রকাশিতব্য রিপোর্টের প্রথম এবং তৃতীয় খণ্ডে এ বিষয়ের উল্লেখ রয়েছে। ৪০০ পাতার ওই রিপোর্টে ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে, কেন জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত বিষয়টি উত্তরাখণ্ড বিধানসভায় পাশ হওয়া বিলের অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।
গত ৭ ফেব্রুয়ারি উত্তরাখণ্ড বিধানসভার বিশেষ অধিবেশনে ধামী সরকার অভিন্ন দেওয়ানি বিধি সংক্রান্ত বিল পাশ করিয়েছিল। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর অনুমোদন পাওয়ার পরে গত ১৩ মার্চ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে উত্তরাখণ্ডে জমি-সম্পত্তি উত্তরাধিকার, বিবাহ, বিবাহবিচ্ছেদ, এবং লিভ-ইন সম্পর্কের আইন বদলে ফেলে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি কার্যকরের কথা ঘোষণা করা হয়েছিল। নয়া আইন অনুযায়ী সব ধর্মের মানুষের জন্য বিয়ে, বিবাহবিচ্ছেদ, জমি-সম্পত্তি এবং উত্তরাধিকার সংক্রান্ত এক এবং অভিন্ন আইন প্রচলনের কথা বলা হয়েছে। ধর্ম নির্বিশেষে পুরুষদের বহুবিবাহ বন্ধ করা এবং একত্রবাস নথিভুক্ত করার আইনের কথা বলা হয়েছে।
যদি কোনও যুগল ‘একত্রবাস’ বা ‘লিভ-ইন’ করতে চান, তবে নয়া আইনে পুলিশ বা জেলা আধিকারিকদের অনুমতি নিতে হবে। আর যদি তাঁদের বয়স ২১ বছরের নীচে হয়, তবে বাবা-মায়ের সম্মতির প্রয়োজন। ধর্ম নির্বিশেষে মেয়েদের বিয়ের ন্যূনতম বয়স ১৮ এবং ছেলেদের ক্ষেত্রে ২১ বছর করা হয়েছে। সেই সঙ্গে ‘রেজিস্ট্রি বিবাহ’ বাধ্যতামূলক করার কথা বলা হয়েছে এই বিধিতে। কিন্তু জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের মতো বিষয়ের কোনও উল্লেখ ছিল না সেই বিলে।