—প্রতীকী চিত্র।
জম্মুতে ধারাবাহিক জঙ্গি হানা নিয়ে এ বার নরেন্দ্র মোদী সরকারকে নিশানা করল কংগ্রেস। দলের তরফে বুধবার অভিযোগ করা হয়েছে, নরেন্দ্র মোদী সরকারের ‘কৌশলগত ব্যর্থতা’র কারণে কাশ্মীর উপত্যকার পাশাপাশি জম্মুতেও একের পর এক নাশকতার ঘটনা ঘটছে।
সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, গত তিন বছরে জম্মুতে জঙ্গি হানায় ৪৩ জন জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে। কাশ্মীর উপত্যকার তুলনায় হামলার সংখ্যা কম হলেও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অনেক বেশি। মোদী সরকার ২০১৯ সালের ৫ অগস্ট কেন্দ্র সংবিধানের ৩৭০ নম্বর অনুচ্ছেদে বর্ণিত জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা লোপ করেছিল। সাবেক জম্মু-কাশ্মীর রাজ্যকে দুই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল জম্মু-কাশ্মীর এবং লাদাখে ভাগ করা হয়। তার পরেই কাশ্মীরের পাশাপাশি জম্মুতেও ধারাবাহিক ভাবে পাক জঙ্গিদের হামলার সূচনা।
কংগ্রেস মুখপাত্র দীপেন্দ্র সিংহ হুডা বুধবার কাঠুয়া সাম্প্রতিক হামলার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসে মদত দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন। পাশাপাশি তাঁর মন্তব্য, ‘‘সন্ত্রাস দমনে মোদী সরকার ব্যর্থ।’’ সাংসদ দীপেন্দ্র বলেন, ‘‘এর আগেও, ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে, রাজৌরিতে আমাদের চার জন সেনা শহিদ হয়েছিলেন। কুলগামে দু’জন। এ বছরের ৯ জুন জম্মুর রিয়াসিতে পূণ্যার্থীদের বাসে এবং ২৬ জুন ডোডায় হামলা হয়েছে। জম্মু ক্রমশ সন্ত্রাসের ভরকেন্দ্র হয়ে উঠছে।’’
প্রসঙ্গত, সোমবার জম্মু ও কাশ্মীরের কাঠুয়া জেলার মাছেড়িতে ভারতীয় সেনার একটি টহলদার দলের উপর হামলা চালায় জঙ্গিরা। তাতে এক জুনিয়র কমিশনড অফিসার-সহ পাঁচ সেনাকর্মীর মৃত্যু হয়। ওই হামলার দায় স্বীকার করেছে পাক জঙ্গিগোষ্ঠী জইশ-ই-মহম্মদের ছায়া সংগঠন ‘কাশ্মীর টাইগার’। কংগ্রেসের অভিযোগ কাশ্মীর উপত্যকায় সন্ত্রাস দমনে যতটা ‘নজর’ দেওয়া হচ্ছে জম্মুর ক্ষেত্রে তা নয়। এর মধ্যে প্রকাশিত কয়েকটি খবরে দাবি করা হয়েছে, পাক অধিকৃত কাশ্মীরের প্রশিক্ষণশিবির থেকে নিয়ন্ত্রণরেখা (এলওসি) পেরিয়ে জম্মুতে অনুপ্রদেশ করেছে অন্তত ৬০ জন জঙ্গি। এর জেরে তৈরি হয়েছে আতঙ্ক।