ছবি : টুইটার থেকে।
বৃষ্টির জলে ফুলেফেঁপে ওঠা নদী ভাসিয়ে নিয়ে গেল যাত্রী বোঝাই একটি গাড়িকে। উত্তরাখণ্ডের ঘটনা। গত কয়েক দিন ধরেই অবিরাম বৃষ্টি চলছে সেখানে। বিভিন্ন জায়গায় নেমেছে ধস। এমনকি বন্ধ হয়ে গিয়েছে রাস্তাও। এর মধ্যেই এই দুর্ঘটনার খবর। পুলিশ জানিয়েছে, গাড়িতে ১০ জন যাত্রী ছিলেন। তাঁদের মধ্যে থাকা এক বালিকা ছাড়া বাকি ন’জনই এই দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছেন। ওই বালিকাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। যদিও জলের স্রোতে ভেসে খাদে পড়ে যাওয়া গাড়ির ভিতর ওই বালিকা বেঁচে রইল কী ভাবে, তা ভেবে বিস্মিতই হচ্ছেন সকলে।
শুক্রবার ভোরে ঘটনাটি ঘটে উত্তরাখণ্ডের রামনগরে। গত কয়েক দিনের বৃষ্টিতে বিপদসীমার উপর দিয়েই বইছিল এই এলাকার ঢেলা নদী। নদীর তীব্র স্রোতেই গাড়িটি ভেসে যায়। পরে গাড়ি এবং তার ভিতরে আটকে থাকা ন’জনের দেহও উদ্ধার করে পুলিশ। তখনই জীবিত অবস্থায় পাওয়া যায় ওই বালিকাকে। উত্তরাখণ্ড পুলিশের কুমায়ুন এলাকার ডিআইজি নীলেশ আনন্দ ভারনে জানিয়েছেন, উদ্ধার হওয়া বালিকার পরিবারের পরিচয় জানতে মৃতদের চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে।
শুক্রবারের এই ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মৃতদের পরিবারের প্রতি সহানুভূতি জানিয়েছেন তিনি। তবে দুর্যোগে মৃতদের পরিবারকে আর্থিক সাহায্য করার বিষয়ে আলাদা করে কিছু উল্লেখ করেননি প্রধানমন্ত্রী। এ বিষয়ে কোনও ঘোষণা শোনা যায়নি উত্তরাখণ্ডের বিজেপি সরকারের তরফেও।
উল্লেখ্য, এই উত্তরখণ্ডেরই তেহরিতে বৃহস্পতিবার ধসে মারা গিয়েছেন এক সদ্য নির্বাচিত গ্রাম প্রধান। বৃষ্টির মধ্যেই তিনি প্রধান হিসেবে শপথগ্রহণের অনুষ্ঠানের জন্য বেরিয়েছিলেন রাস্তায়। পথে ধস নেমে তাঁর মৃত্যু হয়। আহত হন তাঁর তিন সঙ্গীও।
গত চার দিনের টানা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত উত্তরাখণ্ড। গত সােমবার মৌসম ভবন জানিয়েছিল, অন্তত চার দিন ভারী বৃষ্টি হতে চলেছে উত্তরাখণ্ডে। শুক্রবারই সেই চার দিন শেষ হওয়ার কথা। যদিও ইতিমধ্যেই বৃষ্টিতে অজস্র রাস্তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে দেবভূমিতে। বন্ধ হয়েছে বদ্রিনাথ যাওয়ার সড়কপথ। বহু এলাকায় ধস নেমে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ঘরবাড়ি। সতর্কতা জারি করা হয়েছে রাজ্য জুড়ে।