কেদারনাথ মন্দির। —ফাইল চিত্র।
কেদারনাথ মন্দিরের গর্ভগৃহের দেওয়াল আদৌ সোনায় মোড়া হয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে উচ্চপর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দিল উত্তরাখণ্ড সরকার। কিছু দিন আগেই মন্দিরের তীর্থপুরোহিত ও চারধাম মহাপঞ্চায়েতের সহ-সভাপতি সন্তোষ ত্রিবেদী অভিযোগ করেছিলেন, গর্ভগৃহের দেওয়াল সোনার বদলে পিতলে মোড়া হয়েছে। এই কাজে প্রায় ১২৫ কোটি টাকার কেলেঙ্কারির অভিযোগ এনেছিলেন তিনি।
এই বিতর্কের পরই উত্তরাখণ্ডের পর্যটন ও সংস্কৃতি ও ধর্মবিষয়ক দফতরের মন্ত্রী সতপাল মহারাজ জানিয়েছেন, বিষয়টি নিয়ে ধর্মবিষয়ক দফতরের সচিব হরিচন্দ্র সেমওয়ালকে উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গড়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। গাড়োয়াল কমিশনারের নেতৃত্বে এই তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ ও সোনা বিশেষজ্ঞদের কমিটিতে রাখা হবে বলে মন্ত্রী জানিয়েছেন। সতপাল মহারাজ বলেন, রাজ্য সরকার খুবই গুরুত্ব দিয়ে বিষয়টি দেখছে এবং কেউ যদি দুর্নীতি করে থাকে, তাহলে কড়া পদক্ষেপ করা হবে।
মন্ত্রী জানিয়েছেন, ১৯৩৯ সালে তৈরি হওয়া শ্রী বদ্রীনাথ-কেদারনাথ মন্দির কমিটি আইন অনুযায়ী দান গ্রহণ করা হয়েছিল এবং কেদারনাথ মন্দিরের গর্ভগৃহে সোনার পাত বসানোর জন্য রাজ্য সরকারের থেকে অনুমতিও নেওয়া হয়েছিল। মন্দিরে সোনার পাত লাগানোর বিষয়টি তদারকি করেছিলেন ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণের বিশেষজ্ঞরা। সতপাল দাবি করেছেন, ওই সোনা দান করেছিলেন যিনি, তিনিই নিজেই তা কিনে এনেছিলেন। মন্দির কমিটির এ নিয়ে সরাসরি কোনও ভূমিকা নেই। তবে কাজ শেষ হওয়ার পর বিল মন্দির কমিটির কাছে দেওয়া হয়েছিল।
ত্রিবেদীর অভিযোগ খারিজ করে মন্দির কমিটি অবশ্য আগেই দাবি করেছে, গর্ভগৃহে ২৩৭৭৭.৮ গ্রাম সোনা ব্যবহার করা হয়েছে। যার বর্তমান মূল্য ১৪ কোটি ৩৮ লক্ষ টাকা। আর তামা ব্যবহার করা হয়েছে প্রায় ১০০১ কিলোগ্রাম, যার দাম প্রায় ২৯ লক্ষ টাকা।
তবে কেদারনাথের সোনা বিতর্কে তদন্তের নির্দেশ দিলেও এই বিষয় নিয়ে হইচই করার জন্য বিরোধীদের নিশানা করেছেন সতপাল মহারাজ। তাঁর অভিযোগ, চারধাম যাত্রায় বিঘ্ন ঘটাতে চাইছে বিরোধীরা।