চলছে উদ্ধারকাজ। ছবি— রয়টার্স।
নন্দাদেবী হিমবাহ বিস্ফোরণের ঘটনায় বিপর্যস্ত উত্তরাখণ্ডের চামোলি জেলার বিস্তীর্ণ অংশ। তপোবন জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের কাছে সুড়ঙ্গে আটকে থাকা ব্যক্তিদের উদ্ধার করার কাজ চলছে সোমবার থেকেই। মঙ্গলবার জোশীমঠের আইটিবিপি হাসপাতালে আহতদের দেখতে গিয়েছিলেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী ত্রিবেন্দ্র সিংহ রাওয়াত। হেলিকপ্টারে করে চামোলি জেলার বিস্তীর্ণ অংশ মঙ্গলবার পরিদর্শনও করেছেন তিনি।
জোশীমঠের ওই হাসপাতালে ভর্তি থাকা আহতদের দেখতে গিয়ে ত্রিবেন্দ্র বলেছেন, ‘‘৭ ফেব্রুয়ারি সুড়ঙ্গ থেকে যে ১২ জনকে উদ্ধার করা হয়েছিল। তাঁরা সকলে এখানে ভর্তি আছেন। তাঁদের সারা শরীরে খুব যন্ত্রণা। কারণ, জল এবং তার সঙ্গে বয়ে আসা পাথর ও কাদা থেকে বাঁচতে প্রায় ৩-৪ ঘণ্টা তাঁরা একটি লোহার রডকে আঁকড়ে ধরে ঝুলে ছিলেন। চিকিৎসকরা বলেছেন, তাঁরা শীঘ্রই সুস্থ হয়ে উঠবেন।’’
এনটিপিসি জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের তপোবনের একটি সুড়ঙ্গে উদ্ধারকাজ তেমন গতি পায়নি বলে জানিয়েছেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী। দেড় হাজার মিটার দীর্ঘ ওই সুড়ঙ্গই এখন উদ্ধারকাজের প্রধান কেন্দ্রবিন্দু। সেখানে এখনও ৩৫ জন আটকে থাকতে পারেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। রাওয়াত মঙ্গলবার এক সংবাদ সংস্থাকে বলেছেন, ‘‘দ্বিতীয় সুড়ঙ্গে উদ্ধারকাজে এখনও তেমন সাফল্য আসেনি। আটকদের বের করে আনার জন্য উদ্ধারকারী দলের সদস্যরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।’’
তপোবনের একটি সুড়ঙ্গে এখনও প্রায় বেশ কিছু জন আটকে আছেন বলে জানিয়েছেন উত্তরাখণ্ডের ডিরেক্টর জেনারেল অব পুলিশ অশোক কুমার। মঙ্গলবার তিনি বলেছেন, ‘‘চামোলির সুড়ঙ্গে উদ্ধারকাজ এখনও চলছে। আশা করছি, আজকের মধ্যে সুড়ঙ্গ থেকে অটকদের উদ্ধার করে পথ পরিষ্কার করে ফেলতে পারব।’’ উদ্ধারকাজে রত রয়েছে স্টেট ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্স(এসডিআরএফ), ইন্দো-টিবেট বর্ডার পেট্রল(আইটিবিপি) ও অন্যান্যরা। উদ্ধারকাজ নিয়ে আইটিবিপি-র এক অফিসার বলেছেন, ‘‘সারা রাত ধরে উদ্ধারকাজ চালানো হয়েছে। ধ্বংসস্তূপ সরানো হয়েছে।’’ উত্তরাখণ্ডের এই বিপর্যয়ে এখন অবধি প্রায় ২০০ জন নিখোঁজ, নিহতের সংখ্যা ৩০। বিপর্যয়ে নিহত ব্যক্তিদের পরিবার পিছু ৪ লক্ষ টাকা প্রদানের কথা ঘোষণা করেছেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী।