প্রতীকী চিত্র।
ফের নারী সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন উঠল যোগী আদিত্যনাথের উত্তর প্রদেশে। আগ্রা জেলায় রবিবার রাতে এক কিশোরী (১৯) এবং তাঁর মাকে (৫০) খুনের অভিযোগ উঠল এক যুবকের বিরুদ্ধে। ওই কিশোরীকে যুবক ভালবাসতেন বলে জানা গিয়েছে। এই সম্পর্ক নিয়ে ২ বাড়ির কেউ খুশি ছিলেন না। সম্প্রতি ওই কিশোরীর অন্যত্র বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছিল। তার পরই রবিবার এই খুনের ঘটনা ঘটল।
বছর উনিশের ওই কিশোরীর প্রতিবেশী ছিল গোবিন্দ নামে এক যুবক। প্রেমিকার বাড়ি থেকে মাত্র ৫০ মিটার দূরে তাঁর বাড়ি। দীর্ঘ দিন ধরে তাঁদের মধ্যে বন্ধুত্ব ছিল। তাঁদের প্রতিবেশীরাও জানিয়েছেন, ওই কিশোরীকে বিয়ে করতে চেয়েছিল গোবিন্দ। কিন্তু তাঁদের এই সম্পর্ক ওই কিশোরীর বা গোবিন্দের পরিবারের কারও সায় ছিল না। তাঁদের সস্পর্ক নিয়ে ২ পরিবারের মধ্যে সম্প্রতি ঝামেলাও হয়।
এর মধ্যেই গোবিন্দ সম্প্রতি জানতে পারেন প্রেমিকার পরিবার তাঁর অন্যত্র বিয়ে দেওয়ার বন্দোবস্ত করছে। এর পরই সুযোগ বুঝে ওই কিশোরী এবং তাঁর মাকে আক্রমণ করেন গোবিন্দ। কিশোরী এবং তাঁর মায়ের সঙ্গে আরও এক মহিলা ছিলেন। গোবিন্দের আক্রমণে তিনিও গুরুতর আহত হন। আর গোবিন্দের ছুরির কোপে মৃত্যু হয় কিশোরী এবং তাঁর মায়ের।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় আগ্রা পুলিশ। দেহগুলি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে। আগ্রা পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল সতীশ গণেশ জানিয়েছেন, তদন্ত শুরু হয়েছে। এই ঘটনার ৫ জন প্রত্যক্ষদর্শীকেও পাওয়া গিয়েছে। পলাতক অভিযুক্ত গোবিন্দকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।