National News

ফের উত্তরপ্রদেশ, ‘জয় শ্রীরাম’ না বলাতেই কিশোরের গায়ে আগুন!

এক কিশোরের অভিযোগ, ‘জয় শ্রীরাম’ না বলায় শুক্রবার তার গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয় অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীরা। যদিও পুলিশের দাবি, ওই যুবকই নিজের গায়ে আগুন দিয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

চন্দৌলি (উত্তরপ্রদেশ) শেষ আপডেট: ২৯ জুলাই ২০১৯ ১৬:১৯
Share:

গ্রাফিক: তিয়াসা দাস।

দেশ জুড়ে ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনির অপপ্রয়োগে দলিত ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর হিংসা বাড়ছে বলে সম্প্রতি আক্ষেপ করেছিলেন বিশিষ্টজনেরা। নিজেদের আশঙ্কার কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে খোলা চিঠি লিখেছিলেন দেশের ৪৯ জন বিদ্বজ্জন। ফের একই অভিযোগ উঠল। এ বার উত্তরপ্রদেশের চন্দৌলি জেলায়। সেখানকার এক কিশোরের অভিযোগ, ‘জয় শ্রীরাম’ না বলায় শুক্রবার তার গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয় অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীরা। যদিও পুলিশের দাবি, ওই যুবকই নিজের গায়ে আগুন দিয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।

Advertisement

উত্তরপ্রদেশ পুলিশ জানিয়েছে, বছর পনেরোর ওই কিশোরের নাম খালিদ। যদিও সংবাদ সংস্থা সূত্রে তার বয়স সতেরো বছর বলে জানা গিয়েছে। আপাতত বারাণসীর একটি হাসপাতালে অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছে সে। তার দেহের ৪৫ শতাংশ পুড়ে গিয়েছে।

পুলিশের কাছে ওই কিশোরেরর অভিযোগ, ‘‘দুধারি ব্রিজ দিয়ে যাওয়ার সময় চার জন আমাকে অপহরণ করে। দু’জন আমার হাত বেঁধে ফেলে। এক জন আমার গায়ে কেরোসিন ঢালতে শুরু করে। এর পর আমার গায়ে আগুন লাগিয়ে দিয়ে সেখান থেকে পালিয়ে যায়।’’ পরে তার বয়ানে ওই কিশোর আরও দাবি করে, ‘জয় শ্রীরাম’ না বলার জন্যই তার গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয় ওই দুষ্কৃতীরা। তবে ওই কিশোরের দাবি মানতে নারাজ উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। চন্দৌলির এসপি সন্তোষকুমার সিংহের দাবি, ওই কিশোরের বয়ানে অসঙ্গতি রয়েছে। তাঁর কথায়, ‘‘বিভিন্ন জনের কাছে বিভিন্ন বয়ান দিয়েছে সে। এক বার বলেছে, মহারাজপুর গ্রামে দৌড়তে গিয়েছিল সে। সে সময় চার জন লোক তাকে মাঠে টেনে নিয়ে যায়। সে সময় ‘জয় শ্রীরাম’ বলতে জোর করে তারা। এর পর মারধর করে তার গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে আবার অন্য বয়ান দেয় সে। এক ইনস্পেক্টরকে সে জানিয়েছে, চার জন মোটরবাইক আরোহী তাকে অপহরণ করে হাতিজা গ্রামে নিয়ে যায়।’’

Advertisement

আরও পড়ুন: সংসদে ক্ষমা চাইলেন আজম খান, এখনও সন্তুষ্ট নন রমা দেবী

আরও পড়ুন: কেরলে ধর্নায় দলিত বিধায়ক, গোবরজলে ‘শুদ্ধকরণ’-এর অভিযোগ কংগ্রেসের বিরুদ্ধে

এসপি সন্তোষকুমার সিংহ জানিয়েছেন, মহারাজপুর এবং হাতিজা, দুই জায়গারই সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তাঁর আরও দাবি, ‘‘সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে, ওই সব জায়গায় যায়নি সে। মনে হচ্ছে ওই কিশোরকে কেউ শিখিয়ে পড়িয়ে এ সব কথা বলাচ্ছে।’’ পুলিশের আরও দাবি, প্রত্যক্ষদর্শীরা তাদের জানিয়েছেন, ওই কিশোর নিজেই তার গায়ে আগুন ধরিয়েছে।

এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও।সাবস্ক্রাইব করুনআমাদেরYouTube Channel - এ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement