Ayodhya Mosque

অযোধ্যার সেই মসজিদের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনে মোদীকে আমন্ত্রণ জানানো হবে না, জানাল ওয়াকফ বোর্ড

২০১৯ সালের ৯ নভেম্বর অযোধ্যা মামলায় সুপ্রিম কোর্ট যে ঐতিহাসিক রায় দেয়, তাতে বলা হয়, অযোধ্যারই অন্যত্র মসজিদ তৈরি করার জন্য সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডকে পাঁচ একর জায়গা দিতে হবে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

অযোধ্যা শেষ আপডেট: ২৮ অক্টোবর ২০২৩ ১৩:১৯
Share:

গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

অযোধ্যায় নতুন মসজিদের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হবে না প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। শনিবার প্রস্তাবিত মসজিদের নকশা প্রকাশ করে এ কথা জানিয়েছে উত্তরপ্রদেশ সুন্নি সেন্ট্রাল ওয়াকফ বোর্ড। প্রসঙ্গত, অযোধ্যার অদূরে ধন্নিপুরে সরকারের দেওয়া পাঁচ একর জমিতে মসজিদ নির্মাণের দায়িত্বে রয়েছে সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড নিয়ন্ত্রিত সংগঠন ‘ইন্দো-ইসলামিক কালচারাল ফাউন্ডেশন ট্রাস্ট’।

Advertisement

শুক্রবার প্রকাশিত কয়েকটি প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছিল, মোদীকে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হবে। কিন্তু ‘ইন্দো-ইসলামিক কালচারাল ফাউন্ডেশন ট্রাস্ট’-এর মুখপাত্র আতাউর হোসেন বলেন, ‘‘আমাদের এমন কোনও পরিকল্পনা নেই।’’ প্রসঙ্গত, ২০২০-র ৫ অগস্ট অযোধ্যায় ভূমি পূজন করে রামমন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন মোদী। আগামী ২২ জানুয়ারি নবনির্মিত রামমন্দিরের উদ্বোধন এবং রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠা অনুষ্ঠানেও তাঁকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে মন্দির নির্মাণের দায়িত্বপ্রাপ্ত ‘শ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট’।

২০১৯ সালের ৯ নভেম্বর অযোধ্যা মামলায় সুপ্রিম কোর্ট যে ঐতিহাসিক রায় দেয়, তাতে বলা হয়, আগে যে জায়গায় বাবরি মসজিদ ছিল, সেখানেই রামমন্দির তৈরি করা হবে। আর অযোধ্যারই অন্যত্র মসজিদ তৈরি করার জন্য সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডকে পাঁচ একর জায়গা দিতে হবে। রায়ের পরে অন্যতম মামলাকারী ইকবাল আনসারি দাবি করেছিলেন, ২.৭৭ একরের বিতর্কিত জমি ঘিরে কেন্দ্রের অধিগৃহীত ৬৭ একর জমির মধ্যেই মসজিদের জন্য জমি দিতে হবে।

Advertisement

কিন্তু তা নিয়েও বিতর্ক তৈরি হয়। শেষ পর্যন্ত ১৪ ক্রোশের পরিক্রমা পথের বাইরে ধন্নিপুরে জমি দেওয়া হয় ওয়াকফ বোর্ডকে। মসজিদের পাশাপাশি, ওই পাঁচ একর জমিতে হাসপাতাল, গ্রন্থাগার এবং কমিউনিটি কিচেন তৈরি করতে চলেছে ফাউন্ডেশন ট্রাস্ট। আতাউর কয়েক মাস আগে জানিয়েছিলেন, তাঁরা প্রস্তাবিত মসজিদ এবং অন্য নির্মাণগুলির একটি নকশা জেলা প্রশাসনের কাছে পাঠিয়েছেন। আশা করছেন, অযোধ্যা উন্নয়ন পর্ষদ এই খসড়া নকশাকে অনুমোদন দেবে। শেষ পর্যন্ত সেই অনুমোদন পেয়েছে ট্রাস্ট।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement