বৃহস্পতিবার উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে পাবলিক সার্ভিস কমিশনের দফতরের বাইরে বিক্ষোভ চাকরিপ্রার্থীদের। ছবি: পিটিআই।
উত্তরপ্রদেশে প্রভিনশিয়াল সিভিল সার্ভিস (পিসিএস) পরীক্ষা ঘিরে ছাত্র বিক্ষোভের মাঝেই এ বার পিছু হটল সরকার। চাকরিপ্রার্থীদের দাবি মেনে এক শিফ্টেই নেওয়া হবে পরীক্ষা। বৃহস্পতিবার এ কথা জানিয়েছে উত্তরপ্রদেশের পাবলিক সার্ভিস কমিশন। ডিসেম্বর মাসে উত্তরপ্রদেশে পিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা রয়েছে। পরীক্ষার জন্য পর পর দু’টি তারিখ জানানো হয়েছিল। প্রতি দিন দু’টি করে শিফ্টে পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কমিশন। পৃথক পৃথক শিফ্টে পরীক্ষা নেওয়ায় আপত্তি জানিয়েছিলেন চাকরিপ্রার্থীরা। প্রয়াগরাজে পিএসসি দফতরের বাইরে গত চার দিন ধরে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন তাঁরা। বার বার দাবি উঠেছে, এক দিনে এবং একই শিফ্টে পরীক্ষা নিতে হবে। এই বিতর্কের আবহেই বৃহস্পতিবার পিএসসি দফতর থেকে জানানো হল, এক শিফ্টেই পরীক্ষা হবে।
গত সপ্তাহে পাবলিক সার্ভিস কমিশনের তরফে জানানো হয়েছিল, পিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা নেওয়া হবে ৭-৮ ডিসেম্বর। প্রতি দিন দু’টি শিফ্টে পরীক্ষা হবে। পাশাপাশি রাজস্ব আধিকারিক এবং সহকারী রাজস্ব আধিকারিক পদের জন্যে প্রিলিমিনারি পরীক্ষা নেওয়ার কথা ছিল ২২-২৩ ডিসেম্বর। প্রতিদিন তিনটি শিফ্টে ওই পরীক্ষা নেওয়ার কথা ছিল। বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রয়াগরাজে পিএসসি দফতরের বাইরে বিক্ষোভরত চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে দেখা করেন কমিশনের সচিব অশোক কুমার। তিনি জানান, চাকরিপ্রার্থীদের দাবির বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে জানানো হয়েছে। এর পরেই এক শিফ্টে পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
ডাক্তারির প্রবেশিকা পরীক্ষা (নিট) এবং ইউজিসি-নেট পরীক্ষা ঘিরে এর আগে একাধিক অভিযোগ উঠে এসেছিল। সে ক্ষেত্রে পরীক্ষা নিয়ামক সংস্থার ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছিল। পাবলিক সার্ভিস কমিশনের সচিব জানান, পূর্বের ঘটনাগুলির কারণেই পরীক্ষায় স্বচ্ছতা বজায় রাখতে ভিন্ন ভিন্ন শিফ্টে পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। বৃহস্পতিবার পিসিএস পরীক্ষা এক শিফ্টে নেওয়া হবে বলে জানালেও, রাজস্ব আধিকারিক এবং সহকারী রাজস্ব আধিকারিক পদের পরীক্ষার বিষয়ে কিছু জানায়নি কমিশন। দ্বিতীয় পরীক্ষার বিষয়েও সরকারের থেকে স্পষ্ট বক্তব্য জানতে চাইছেন বিক্ষোভরত চাকরিপ্রার্থীরা।
রাজস্ব আধিকারিক এবং সহকারী রাজস্ব আধিকারিক পদের পরীক্ষাও এক শিফ্টে নিতে হবে বলে দাবি জানাচ্ছেন তাঁরা। বিক্ষোভকারীদের বক্তব্য, তাঁদের দু’টি দাবি ছিল। একটি দাবি মানা হয়েছে। অন্যটিও মানতে হবে। না হলে তাঁরা পাবলিক সার্ভিস কমিশনের সামনে অবস্থান চালিয়ে যাবেন।