‘সখীবাবা’কে খুনের পিছনে কী উদ্দেশ্যে রয়েছে, তা নিয়ে ধোঁয়াশায় পুলিশ। ছবি: টুইটার থেকে সংগৃহীত।
এলাকার লোকজনের কাছে তাঁর পরিচয় ছিল ‘সখীবাবা’ নামে। তবে নিজেকে কালীর রূপেই সাজিয়ে রাখতে ভালবাসতেন বছর পঁচাত্তরের পুরোহিত। শাড়ি এবং চুড়ি পরা অবস্থাতেই প্রায়শই তাঁকে দেখা যেত। শনিবার ওই পুরোহিতকে খুনের অভিযোগ উঠল এলাকারই এক যুবকের বিরুদ্ধে। উত্তরপ্রদেশের বদায়ূঁ জেলার ওই খুনের পিছনে কী উদ্দেশ্যে রয়েছে, তা নিয়ে ধোঁয়াশায় পুলিশ। তবে ওই ঘটনার পর থেকে পলাতক অভিযুক্ত।
পুলিশ জানিয়েছে, শনিবার সকালে বদায়ূঁ জেলার ইসালামনগর থানা এলাকায় একটি মন্দির চত্বর থেকে ওই পুরোহিতের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। জয় সিংহ যাদব নামের ওই বৃদ্ধ পুরোহিত মন্দির চত্বরেই একটি কুঁড়েঘরে একা থাকতেন। দীর্ঘ ৪৫ বছর ধরে ওই মন্দিরে পুজো করছেন তিনি। ওই পুরোহিতকে খুনের অভিযোগ উঠেছে এলাকারই এক বাসিন্দা রামবীর যাদবের বিরুদ্ধে। বছর সাতাশের ওই যুবক এলাকা থেকে চম্পট দিয়েছে।
স্থানীয় লোকজনেরা জানিয়েছেন, শনিবার সাতসকালেই রুটিনমাফিক মন্দিরের পুজো সেরে নিয়েছিলেন ‘সখীবাবা’। এর পর এলাকায় একটি ধর্মীয় মিছিলও করেন তিনি। মিছিল শেষে নিজের কুঁড়েঘরে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন। অভিযোগ, সে সময়ই তাঁর কুঁড়েতে ঢোকে রামবীর। এর পর ছুরি দিয়ে খুন করে ওই বৃদ্ধকে। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, ওই ঘটনার আগে দু’জনের মধ্যে তর্কাতর্কিও হয়। ঝামেলা চলার সময় হঠাৎই ছুরি বার করে বৃদ্ধকে আঘাত করে রামবীর। এর পর এলাকা থেকে পালিয়ে যায়। গ্রামের লোকজন তার পিছু ধাওয়া করেও পাকড়াও করতে পারেননি।
গ্রামবাসীদের কাছ থেকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় ইসলামনগর থানার পুলিশ। বদায়ূঁর সিনিয়র পুলিশ সুপার সংকল্প শর্মা জানিয়েছেন, পুরোহিতের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘কী কারণে বৃদ্ধ পুরোহিতকে খুন করা হয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।’’ অভিযুক্ত রামবীরের বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংকল্প।