ফাইল চিত্র।
কৃষক আন্দোলন নিয়ে পপ তারকা রিহানা, পরিবেশ আন্দোলনকর্মী গ্রেটা থুনবার্গরা যখন টুইট করে সমর্থন জানালেন, তার ঠিক পাল্টা টুইট করেন দেশের চলচ্চিত্র, ক্রীড়া এবং সঙ্গীতমহ সহ একাধিক ক্ষেত্রের বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বরা। তাঁদের টুইটের বক্তব্য, এটা ভারতের বিষয়। দেশের সার্বভৌমত্বের সঙ্গে কোনও আপস চলবে না। #ইন্ডিয়াএগেনস্টপ্রোপাগান্ডা এবং #ইন্ডিয়াটুগেদার— এই হ্যাশট্যাগ ব্যবহারও করেছেন তাঁরা।
একই রকম টুইটের ধরন একাধিক ব্যক্তিত্বের দেওয়ালে ফুটে উঠল কী ভাবে, এ বার তা নিয়েই তদন্ত শুরু করল মহারাষ্ট্র সরকার। কৃষি আইন নিয়ে সরকারকে সমর্থনের পিছনে কি কোনও প্রকার চাপ কাজ করেছে, তা নিয়েও শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। রবিবারই কংগ্রেস অভিযোগ তোলে, দেশের তারকাদের চাপ দিয়েই কৃষি আইনের সমর্থনে টুইট করিয়েছে বিজেপি। এই ঘটনার তদন্তের দাবিও জানায় তারা। কংগ্রেসের সেই দাবির ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই বিষয়টি নিয়ে নড়েচড়ে বসেছে মহারাষ্ট্র সরকার।
সোমবার রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল দেশমুখ বলেন, “এটা দেখা যাচ্ছে যে, একই সময়ে একই রকম লেখা পোস্ট করেছেন তারকারা। সে কারণেই বিষয়টি খতিয়ে দেখার প্রয়োজন, কী ভাবে এমন ঘটনা ঘটল।” মূলত একটি শব্দ ব্যবহার নিয়েই প্রশ্ন উঠে এসেছে। সেই শব্দটি হল ‘অ্যামিকেবল’। একাধিক তারকার টুইটে এই শব্দটি ব্যবহৃত হয়েছে। আর এই শব্দ ব্যবহারের বিষয়টি নিয়েই সন্দেহ প্রকাশ করেছেন কংগ্রেস নেতা শচীন সাবন্ত।
তিনি বলেন, “অক্ষয় কুমার, সাইনা নেহওয়াল একই রকম টুইট করেছেন। এবং সেই টুইট সুনীল শেঠি ট্যাগ করেছেন এক বিজেপি নেতাকে। প্রত্যেকেরই নিজস্ব মত প্রকাশের স্বাধীনতা আছে। কিন্তু এ ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের তদন্ত করে দেখা দরকার, এই ব্যক্তিত্বরা কোনও চাপের কাছে নতিস্বীকার করেননি তো?”
গত সপ্তাহেই কৃষক আন্দোলন নিয়ে টুইট করে আন্তর্জাতিক মহলে ঝড় তুলেছেন পপ তারকা রিহানা। তিনি কৃষক আন্দোলন এবং কৃষকদের হয়েই টুইটে সওয়াল করেছেন। তার পর এক এক করে বহু আন্তর্জাতিক ব্যক্তিত্ব কৃষক আন্দোলনকে সমর্থন করে টুইট করেন। যার বিরুদ্ধে পাল্টা সরব হয়েছেন দেশের ক্রীড়া, সঙ্গীত এবং চলচ্চিত্র জগতের বহু বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব।