নিশার স্বামী মিরাট পুলিশের কাছে দুই সন্তানের নিখোঁজ হওয়ার অভিযোগ দায়ের করার পরে খুনের ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে। প্রতীকী ছবি।
পুরসভার কাউন্সিলর প্রেমিক এবং তাঁর চার সহযোগীর সঙ্গে মিলে নিজের ১০ বছরের পুত্রসন্তান এবং ৬ বছরের কন্যাসন্তানকে খুনের অভিযোগ এক মহিলার বিরুদ্ধে। উত্তরপ্রদেশের মিরাটে এই চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে। অভিযুক্ত মহিলার নাম নিশা। ইতিমধ্যেই তাঁকে গ্রেফতার করেছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁর প্রেমিককেও।
পুলিশ সূত্রে খবর, পুরসভার কাউন্সিলর সৌদ ফইজির সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন নিশা। নিশার সঙ্গে সম্পর্কে জড়ানোর পর স্ত্রীর সঙ্গে ফইজির বিচ্ছেদ হয়ে যায়। স্বামী-সন্তানদের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে বেরিয়ে আসতে মরিয়া হয়ে উঠেছিলেন নিশাও। অভিযোগ, সেই জন্যেই প্রেমিক এবং তাঁর সহযোগীদের সহায়তায় দুই সন্তানকে খুন করেন নিশা। এর পর মৃতদেহ দু’টি বাক্সে ভরে খালে ফেলে দিয়ে আসা হয়।
নিশার স্বামী মিরাট পুলিশের কাছে দুই সন্তানের নিখোঁজ হওয়ার অভিযোগ দায়ের করার পরে মর্মান্তিক খুনের ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে।
মিরাট থানার পুলিশ আধিকারিক পীযূষ সিংহ জানিয়েছেন, নিশার পুত্রসন্তানকে বাড়িতেই খুন করা হয়েছিল। কন্যাকে খুন করা হয় ফইজির এক সহযোগীর বাড়িতে। পুলিশের তদন্ত অনুসারে, নিশা স্বামীকে ছেড়ে ফইজিকে বিয়ে করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু নিশার দুই সন্তানকে মেনে নিতে রাজি ছিলেন না ফইজি। আর সেই কারণেই ‘পথের কাঁটা’ সরানোর সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা।
পুলিশ অভিযুক্তদের ফোন খতিয়ে দেখে তাঁদের আটক করে। পুলিশ জানিয়েছে, নিশার পরস্পরবিরোধী বয়ানের কারণে তাঁর প্রতি সন্দেহ বাড়ে। অন্য দিকে, ফইজিকে জিজ্ঞাসাবাদের সময়, চাপের মুখে পড়ে খুন করার কথা স্বীকার করে নেন তিনি।