সমন খারিজ করার আবেদন নিয়ে দিল্লি হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তেজস্বী। ছবি: পিটিআই।
দিল্লিতে সিবিআই দফতরে গিয়ে হাজিরা দিলেন বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদব। জমির বদলে চাকরি মামলায় তিন বার হাজিরা এড়ালেও দিল্লি হাই কোর্টের নির্দেশের পর শনিবার তিনি সিবিআই দফতরে উপস্থিত হন।
জমির বদলে চাকরি মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এর আগে লালু-পুত্রকে তিন বার সমন পাঠিয়েছিল সিবিআই। কিন্তু তিন বারই তিনি তা এড়িয়ে যান। সমন খারিজ করার আবেদন নিয়ে দিল্লি হাই কোর্টের দ্বারস্থও হয়েছিলেন তেজস্বী। তাঁর আবেদন ছিল, যে সময় এই দুর্নীতি হয়েছে বলে তদন্তকারী সংস্থা দাবি করছে, সেই সময় তিনি নাবালক ছিলেন। এই মামলায় প্রাথমিক ভাবে অভিযোগ রয়েছে তাঁর বাবা লালুপ্রসাদ যাদবের বিরুদ্ধে। এর পাশাপাশি, বিহারে না ডেকে কেন তাঁকে দিল্লির সিবিআই দফতরে তলব করা হয়েছে, তা নিয়েও আপত্তি জানিয়েছিলেন তেজস্বী। কিন্তু গত ১৬ মার্চ দিল্লি হাই কোর্ট সাফ জানিয়ে দেয়, জমির বদলে চাকরি মামলায় সিবিআইয়ের কাছে হাজিরা দিতেই হবে লালু-তনয়কে। শনিবারই তাঁকে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের দিল্লির অফিসে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। সেই নির্দেশ মেনেই শনিবার সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ ইডির দিল্লি অফিসে গিয়ে উপস্থিত হন রাষ্ট্রীয় জনতা দল (আরজেডি)-এর নেতা। সেখানে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে সিবিআই সূত্রে খবর।
কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার তরফে গত সপ্তাহে দিল্লি হাইকোর্টে আশ্বাস দেওয়া হয় যে, এই মাসে লালু-পুত্রকে গ্রেফতার করা হবে না।প্রসঙ্গত, গত ১৫ মার্চ একটি বিশেষ সিবিআই আদালত লালু প্রসাদ, রাবড়ি দেবী এবং তেজস্বীর বোন মিসা ভারতী-সহ অন্যদের জমির বদলে চাকরি কেলেঙ্কারির মামলায় জামিন দেয়।
যদিও সিবিআই সূত্রে খবর, কেন্দ্রীয় সংস্থার তদন্তে নতুন নতুন তথ্য উঠে আসছে। আর তার উপর ভিত্তি করেই অভিযুক্তদের আবার জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে। সিবিআইয়ের অভিযোগ, ২০০৪ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত ইউপিএ সরকারের রেলমন্ত্রী হিসাবে লালু প্রসাদের আমলে, কোনও বিজ্ঞাপন বা জনবিজ্ঞপ্তি ছাড়াই নিয়ম ও পদ্ধতি লঙ্ঘন করে পছন্দের প্রার্থীদের রেলে নিয়োগ করা হয়েছিল। আর তার পরিবর্তে সেই প্রার্থীদের পরিবারের জমি খুব কম দামে নিজেদের নামে হস্তান্তর করে লালু পরিবার।