ছবি পিটিআই।
গত বছর থেকেই শোনা যাচ্ছিল, উত্তরপ্রদেশের ২০২২-এর বিধানসভা ভোটকে পাখির চোখ করে প্রিয়ঙ্কা গাঁধী লখনউয়ে ঘাঁটি গেড়ে থাকবেন। তাঁর জন্য গাঁধী পরিবারের আত্মীয়া শীলা কউলের লখনউয়ের বাড়িও সেজেগুজে তৈরি। কিন্তু এখনও ফেসবুক-টুইটার ও যোগী আদিত্যনাথকে নানা অভিযোগ জানিয়ে চিঠি লেখার বাইরে প্রিয়ঙ্কাকে উত্তরপ্রদেশে সক্রিয় হতে দেখা যায়নি। কংগ্রেস সূত্রের খবর, এ মাসের গোড়াতেই প্রিয়ঙ্কা লখনউয়ে যাবেন। প্রাথমিক ভাবে অন্তত পাঁচ দিনের সফর। তার পরেও আগামী সাত-আট মাসে উত্তরপ্রদেশে বিধানসভা নির্বাচনের আগে পর্যন্ত দফায় দফায় জেলা সফর করবেন।
তবে প্রিয়ঙ্কা তথা কংগ্রেসের পক্ষ থেকে যতই বিলম্ব হোক না কেন, মাঠে নেমে পড়তে দেখা গিয়েছে রাজ্যের বিজেপি নেতৃত্বকে। জনসঙ্ঘের প্রতিষ্ঠাতা শ্যামাপ্রাসাদ মুখোপাধ্যায়ের জন্মোৎসবের পরেই বিজেপির তিন নেতা রাজ্য সভাপতি স্বতন্ত্রদেব সিংহ, সাধারণ সম্পাদক সুনীল বনশল, জাতীয় অধ্যক্ষ রাধামোহন সিংহ রাজ্যওয়াড়ি সফর শুরু করে দিয়েছেন। তাঁদের প্রতি শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশ, বিভিন্ন কারণে উত্তরপ্রদেশে যোগী সরকারের বিরুদ্ধে তৈরি হওয়া ক্ষোভ প্রশমিত করতে হবে। পাশাপাশি জেলা ও ব্লক স্তরে দলীয় সংগঠনের হাল সরেজমিনে দেখা। কেন্দ্র এবং রাজ্যের বিজেপি নেতৃত্ব যে কাজ করেছেন তা মানুষের সামনে তুলে ধরাটাও তাঁদের কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে। সাধারণ মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ করার পাশাপাশি স্থানীয় বিধায়ক-সাংসদদের সঙ্গেও কথা বলছেন তাঁরা। এই কর্মসূচি চলবে ৩ জুলাই পর্যন্ত।
অন্য দিকে, এআইসিসি-তে প্রিয়ঙ্কাকে উত্তরপ্রদেশের দায়িত্ব দেওয়ার পরে রাজ্য নেতাদের মধ্যে আশা তৈরি হয়েছে ঠিকই। কিন্তু সাত মাসে প্রিয়ঙ্কা কংগ্রেসের হারানো জমি কতখানি পুনরুদ্ধার করতে পারবেন, তা নিয়ে যথেষ্ট প্রশ্ন রয়েছে। প্রায় তিন দশক কংগ্রেস লখনউয়ের তখতের ধারেকাছেও ঘেঁষতে পারেনি। ২০১৪-র লোকসভায় কংগ্রেস রায়বরেলী ও অমেঠী আসনে জিতেছিল। ২০১৯-এর ভোটে রাহুল গাঁধী অমেঠীতে হেরে যান। ২০১৭-র বিধানসভায় কংগ্রেস মাত্র সাতটি আসনে জেতে।
জুলাই থেকে এসপি-র অখিলেশ যাদবও প্রচার শুরু করছেন। শ্রাবণ মাসের প্রথম সোমবার তিনি বারাণসীতে গিয়ে বিশ্বনাথের মন্দিরে পুজো দেবেন বলে সূত্রের খবর। তার পরে প্রধানমন্ত্রীর লোকসভা কেন্দ্র বারাণসীতেই বিধানসভা ভোটের জন্য প্রথম দলীয় কর্মী সভাটি করবেন।