অলঙ্করণে তিয়াসা দাস।
গুপ্তধন পাওয়ার জন্য বিশেষ পুজোর আয়োজন। ৬০ জন পুরোহিত ১৪ দিন ধরে করেছিলেন সেই পুজো। তার পর দক্ষিণা হিসাবে পেলেন নকল টাকার বান্ডিল। সম্প্রতি এ রকমই ঘটনা ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের সীতাপুরে। পুরোহিতদের নকল টাকা দেওয়ার অভিযোগে এক দম্পতিকে শুক্রবার গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বাস্তবের ওই ‘বান্টি-বাবলি’ এর আগেও একই ভাবে অনেক পুরোহিতদের ঠকিয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
ওই দম্পতির নাম গীতা পাঠক ও গুলাসিরাম পাঠক। সীতাপুরের মথুরা গ্রামে ওই দম্পতির একটি আশ্রম আছে। সেই আশ্রমেই গুপ্তধন পাওয়া যাবে বলে পুজোর আয়োজন করেছিলেন তাঁরা। ডেকেছিলেন ৬০ জন পুরোহিতকে। ১৪ দিনের পুজো শেষে একটি টাকা ভর্তি কাপড়ের ব্যাগ তুলে দিয়েছিলেন পুরোহিতদের হাতে। তাঁদের বলেছিলেন, পরে বাড়ি গিয়ে টাকার ব্যাগ খুলতে।
তা খোলার পরই পুরোহিতরা দেখেন কয়েকটি মাত্র আসল নোট। বাকি সব টাকাই জাল। ২৭ অগস্ট দিলীপকুমার পাঠক নামের এক পুরোহিত বিষয়টি নিয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হন। তার পরই পুলিশ গ্রেফতার করেছে ওই দম্পতিকে। তবে এই প্রথম নয়। তদন্ত করতে গিয়ে পুলিশ জানতে পেরেছে, এর আগেও অনেক পুরোহিতকে এ ভাবেই ঠকিয়েছেন ওই দম্পতি। ২০১৩-তে আশ্রম খোলার পর থেকেই ওই দম্পতি এই কাজ করছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
ঘটনা নিয়ে পুলিশের এক আধিকারিক বলেছেন, ‘‘গীতা ও তাঁর স্বামী পুজোর আয়োজন করে পুরোহিতদের ডেকেছিল। এই পুজোর জন্য গ্রামের মানুষের কাছ থেকে চাঁদাও তুলেছিল। পুজোর কাজ শেষ হলে নকল টাকা ভর্তি ব্যাগ পুরোহিতদের দেয় ওই দম্পতি। আমরা ওই আশ্রমের ব্যাপারে তদন্ত করছি। নকল টাকা এরা কোথা থেকে পেল, সে ব্যাপারেও তদন্ত করছি।’’
আরও পড়ুন: অনুপ্রবেশের ছক বানচাল, পাক সীমান্তের কাছে ২০ ফুট লম্বা সুড়ঙ্গ!
আরও পড়ুন: এক দেশ এক ভোট-এ অগ্রগতি, একই ভোটার তালিকা তৈরির প্রস্তুতি