লাদাখে মোতায়েন ভারতীয় সেনা— ফাইল চিত্র।
লাদাখ পরিস্থিতি নিয়ে ফের উদ্বেগ প্রকাশ করল আমেরিকা। শুক্রবার মার্কিন বিদেশ দফতর জানিয়েছে, আমেরিকা চায় প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় (এলএসি) ভারত-চিন উত্তেজনা যাতে আর না বাড়ে।
আগামী সপ্তাহে ভারত সফরে আসছেন মার্কিন বিদেশসচিব মাইক পম্পেও এবং প্রতিরক্ষা সচিব মার্ক এস্পার। প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ এবং বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্করের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গেও দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা নিয়ে তাঁরা আলোচনা করবেন। তার আগে নয়াদিল্লির সঙ্গে প্রতিরক্ষা এবং তথ্য আদানপ্রদান সংক্রান্ত সহযোগিতা বাড়ানোর কথা বলেছে ডোনাল্ড ট্রাম্প সরকার। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং দক্ষিণ চিন সাগরে ভারতের সাম্প্রতিক তৎপরতা বৃদ্ধিকেও স্বাগত জানিয়েছে আমেরিকা।
আরও পড়ুন: ইস্তফা ঘোষণা করে হোয়াট্সঅ্যাপ গ্রুপ ছাড়লেন সৌমিত্র খাঁ, বিজেপি সরগরম
সমমনোভাবাপন্ন দেশগুলির সঙ্গে ভারতের সামরিক সমন্বয়বৃদ্ধির পক্ষেও সওয়াল করা হয়েছে বিবৃতিতে। মার্কিন বিদেশ দফতরের এক আধিকারিক বলেছেন, ‘‘লাদাখ সীমান্তের পরিস্থিতি আমরা নজরে রেখেছি। ভারত সেখানে আগাগোড়াই সংযত আচরণ করছে। হিমালয়, দক্ষিণ চিন সাগর এবং ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চিনের আগ্রাসী আচরণের মোকাবিলায় ভারতের মতো সমমনস্ক অংশীদারদের সঙ্গে কাজ করার বিষয়টি আগের চেয়ে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।’’ সাম্প্রতিক মালাবার নৌ-মহড়ায় অস্ট্রেলিয়ার যোগদানের বিষয়ে নয়াদিল্লির ইতিবাচক মনোভাবেরও প্রশংসা করেছেন তিনি।
আরও পড়ুন: রাজনীতির দাবায় দিদির গুরুং-চাল, মাত না হলেও কিস্তি তো বটেই
প্রসঙ্গত, ২০০৭ সালের পরে ফের ভারত, আমেরিকা, জাপানের যৌথ নৌ-মহড়া মালাবারে প্রত্যাবর্তন হচ্ছে অস্ট্রেলিয়ার। এই উদ্দেশ্যে চলতি মাসের গোড়ায় জাপানে চতুর্দেশীয় জোট ‘কোয়াড’-এর বৈঠক হয়েছিল। সেখানে লাদাখ পরিস্থিতি নিয়ে পম্পেওর সঙ্গে জয়শঙ্করের আলোচনা হয় বলে সাউথ ব্লক সূত্রের খবর। টোকিওতে ওই বৈঠকের পরে এলএসি-তে ৬০ হাজার চিনা ফৌজ মোতায়েনের খবর জানিয়ে বেজিংয়ের মোকাবিলায় ‘কোয়াড’-এর দেশগুলির মধ্যো সহযোগিতা ও সমন্বয় বাড়ানোর সওয়াল করেছিলেন পম্পেও। চিনা কমিউনিস্ট পার্টির ‘খারাপ আচরণ’কে দীর্ঘ দিন ধরে পশ্চিমী দুনিয়া উপেক্ষা করেছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘‘বিশ্ব এখন জেগে উঠছে। আমেরিকা ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেতৃত্বে চিন বিরোধী জোট গঠনের কাজ শুরু করেছে।’’