—ছবি সংগৃহীত।
পরিস্থিতি বিশেষ শুধরায়নি। আমলাতান্ত্রিক বাধা পেরোতে গিয়ে বেশ সমস্যার মুখেই পড়তে হয় ব্যবসায়িক সংস্থাকে। ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য ভারত এখনও ‘কঠিন ঠাঁই’ রয়ে গিয়েছে। ভারতের বিনিয়োগযোগ্য পরিস্থিতি সম্বন্ধে বলতে গিয়ে ঠিক এই ভাষাই ব্যবহার করা হল মার্কিন বিদেশ দফতরের চলতি বছরের রিপোর্টে। শুধু তাই নয়, রিপোর্টে উঠে এসেছে জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা খর্ব এবং সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের মতো বিষয়ের প্রসঙ্গও।
আমেরিকার বিদেশ দফতর প্রকাশিত ‘২০২১ ইনভেস্টমেন্ট ক্লাইমেট স্টেটমেন্ট: ইন্ডিয়া’ রিপোর্টে বর্ধিত শুল্ক হার, আমদানি-রফতানির ক্ষেত্রে কড়া নিয়মবিধির কথা উল্লেখ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা সংক্রান্ত বিষয়ে ভারতে সরকারি পদক্ষেপ বিজ্ঞানসম্মত নয় এবং আন্তর্জাতিক মাপকাঠির সঙ্গে তা খাপ খায় না।
রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, দ্বিতীয় বার ক্ষমতায় আসার ১০০ দিনের মধ্যেই দু’টি বিতর্কিত বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ভারতের এনডিএ সরকার। একটি, অনুচ্ছেদ ৩৭০ বাতিল করে জম্মু-কাশ্মীরের মর্যাদা বিলোপ। অন্যটি, সংসদে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাশ। এই দুই ঘটনার জেরে ঘরে তো বটেই, আন্তর্জাতিক স্তরেই প্রবল সমালোচনার মুখে পড়তে মোদী সরকারকে।
তবে অতিমারি সঙ্কটে ধসে যাওয়া অর্থনীতি চাঙ্গা করতে কেন্দ্রের ‘জনকল্যাণমূলক’ প্রকল্প এবং স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধির উল্লেখ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে বিদেশি বিনিয়োগের পথ খুলে দিতে কেন্দ্রের নয়া শ্রমবিধি এবং কৃষি ক্ষেত্র-সহ অর্থনীতির নানা ক্ষেত্রে কাঠামোগত সংস্কারের প্রসঙ্গও রয়েছে ওই রিপোর্টে।