রাজ্যসভায় হইহট্টগোল। ছবি: পিটিআই।
তৃণমূল সাংসদদের বিরুদ্ধে স্বাধিকার ভঙ্গের প্রস্তাব আনতে চলেছে সরকার। অভিযোগ, তৃণমূল সাংসদরা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের সঙ্গে অভব্য আচরণ করেছেন। যদিও তৃণমূল পাল্টা দুর্ব্যবহারের অভিযোগ তুলেছে সরকারের বিরুদ্ধে। তৃণমূলের অভিযোগ, সাংসদ শান্তনু সেনের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরদীপ সিংহ পুরী।
সাংবাদিকদের শান্তনু বলেন, “সভা মুলতবি হয়ে যাওয়ার পর হঠাৎই হরদীপ পুরী আমাকে অভদ্র ভাবে ডাকেন। আমি তাঁর কাছে যাওয়ার পর হুমকি দিতে শুরু করেন। আমাকে গালিগালাজ করেন। এমনকি হামলারও চেষ্টা হয়।” তিনি আরও বলেন, “আমাকে পুরো ঘিরে ফেলা হয়েছিল। সহকর্মীরা সেটা দেখতে পেয়ে আমাকে উদ্ধার করেন। এই ঘটনা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক।”
ঘটনার সূত্রপাত কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের বক্তৃতার কাগজ ছেঁড়া কেন্দ্র করে। বৃহস্পতিবার সংসদের বাদল অধিবেশনের তৃতীয় দিন ছিল। এই মুহূর্তে গোটা দেশ পেগাসাস-কাণ্ড নিয়ে উত্তাল। উত্তাপ চড়ছে সংসদের ভিতরেও। তারই ঝলক দেখা গেল বৃহস্পতিবার।
তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী পেগাসাস-কাণ্ড নিয়ে বক্তৃতার দেওয়ার জন্য উঠেছিলেন। তখনই হইহট্টগোল শুরু হয় রাজ্যসভায়। বিরোধী দলের সাংসদরা ‘দৈনিক ভাস্কর’-এর দফতরে আয়কর হানার প্রতিবাদ জানিয়ে ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। অশ্বিনী তখন পেগাসাস-কাণ্ড নিয়ে বক্তৃতা দিচ্ছিলেন। অভিযোগ, তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন হঠাৎই অশ্বিনীর কাছে চলে যান। তার পরই তাঁর হাতে থেকে কাগজ ছিনিয়ে নিয়ে তা ছিঁড়ে চেয়ারম্যানের দিকে ছুড়ে দেন। তার পরই সংসদের ছবিটা পুরো বদলে যায়। তৃণমূল সাংসদদের এই আচরণের প্রতিবাদে পাল্টা সরব হন বিজেপি সাংসদরা।
এই ঘটনার প্রেক্ষিতেই এ বার তৃণমূল সাংসদদের বিরুদ্ধে স্বাধিকার ভঙ্গের প্রস্তাব আনতে চলেছে সরকার। সূত্রের খবর, রাজ্যসভার চেয়ারম্যানের কাছে সাংসদ শান্তনুকে সাসপেন্ড করার আর্জি জানিয়েছে সরকার।